প্রেমের টানে বরিশালের মেয়ে মুন্সীগঞ্জ প্রেমিকের বাসায় অনশন
হুমায়ুন কবির, স্পেশাল রিপোর্টার:
বরিশালের মেয়ে আর মুন্সীগঞ্জের ছেলে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে ২ বছর ধরে। ছেলের মামার ফ্যাক্টরিতে দুজনেই সেলাই কাজ করার সুবাধে একসাথেই চলাফেরা এবং এরই মাঝে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত কয়েক মাস পূর্বে বরিশালে মেয়েটিকে বাড়ীতে মাদ্রাসায় পড়াবেন বলে পাঠিয়ে দেয় মুন্সীগঞ্জের প্রেমিক মোঃ রাসেল।
সোমবার (১৯ শে ফ্রেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং) সকাল ৯ ঘটিকার সময় মুন্সীগঞ্জের রাসেলের বাড়ীতে অনশন করতে থাকেন বরিশালে সপ্না আক্তার। সকাল সাড়ে ৮টায় কাঠপট্টি নেমে ছেলের বাড়ি রামপাল ইউনিয়নের পানহাটা গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে উঠেন। মুন্সীগঞ্জের সদর থানার রামপাল ইউনিয়নের পানহাটা গ্রামের মৃত্য বাবুল ফকিরের ছেলের সাথে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওলানিয়ার আশা গ্রামের মৃত্যু আক্তার হোসেন মাঝির মেয়ে স্বপ্নার মাঝে প্রেম বিনিময় হয়। এই প্রেমের বিষয়টি ধারণ করতে থাকে মেয়ে সপ্না আক্তার। অন্যদিকে ছেলে রাসেল ফকির স্বপ্নাকে বিয়ে না করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়টি মেয়েটি জানতে পেরে বরিশাল থেকে দ্রুত চলে আসে ছেলের বাড়িতে। আবার এই বিয়ের বিষয়টি প্রেমিকাকে নিশ্চিত করে প্রেমিক রাসেল ফকির নিজেই। এই মুন্সীগঞ্জের বিয়ে সফলতা ঠেকাতে নিজের ঘর ছেড়ে বরিশাল হতে প্রেমের সফলতা অর্জন করতে ছেলের বাড়ীতে ঘর দখলে নেয় অনশনে আছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে স্বপ্না জানায়, আমার সাথে গত ২ বছর পূর্বে রাসেলের সাথে প্রেম হয়। রাসেল ফকিরের মামার বোরকার গার্মেন্সে পরিচয়ে মাধম্যে চলে প্রেম। আমাকে ছেড়ে রাসেল আবার বিয়ে করতেছে বলেই আমি আমার প্রেমিকের বাড়িতে আসছি। রাসেল আমাকে বিয়ে করবে বলেই গ্রামে পাঠিয়েছে। আমাকে গ্রামে পাঠিয়েই লুকিয়ে বিয়ে করতেছে। তাই আমিও নিজে বাড়ী ছেড়ে বরিশাল হতে মুন্সীগঞ্জ রাসেল ফকিরের বাড়ীতে উঠছি।
৯৯৯ এ কল পেয়ে মুন্সীগঞ্জ হাতিমাাড়া তদন্ত পুলিশ এলাকায় গেলে মেয়ে ছেলের বাড়ীতে মেয়েকে পেলেও ছেলে ভয়ে বাড়ী ছাড়া, প্রেমিক রাসেলের বৃদ্ধা মা এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না।
এ বিষয় এস আই আসলাম বলেন এলাকার মেম্বার, মাতব্বর মিলে মেয়েটির বিষয় ফায়সাল করে নিবেন, মেয়ের একাধিক গার্ডিয়ানদের মুন্সীগঞ্জে আসার বিষয় জানানো হয়েছে। মেয়েটির কোন সমস্যা যাতে না হয় সেই বিষয় রাসেল ফকিরের গার্ডিয়ানদের জানানো হয়েছে।