সিরাজদিখানে প্রতিপক্ষের দোকান ঘরে হামলা ও লুটপাট, জণসাধারনের হাতে আটক বিএনপি নেতা, প্রতিবাদে মানববন্ধন!

Spread the love
সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মমিন আলী সমর্থক এক বিএনপি নেতার দোকানঘর ভাংচুর ও লুটপাট করতে গিয়ে কেয়াইন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ নাসিম খান জনসাধারণের হাতে আটক হয়ে মারধরে শিকার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাত অনুমান ৯ টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড়বর্তা গ্রামে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেনের দোকান ঘরে হামলা ও লুটপাট করতে গিয়ে আটক হন তিনি। পরে তাকে সিরাজদিখান থানা পুলিশের সহায়তায় বিক্ষুব্ধ জনসাধারণের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মনির হোসেন কেয়াইন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ নাসিম খানকে প্রধান বিবাদীসহ ২৪ জনকে এজাহার নামীয় ও আরো ১৫/৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা বিবাদী করে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে অভিযুক্ত কেয়াইন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসিম খানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ  সমর্থিত  বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কেয়াইন ইউনিয়ন বিএনপি ও ইউনিয়নের সর্বস্তরের জণগনের আয়োজনে গতকাল বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ এলাকায় মানববন্ধন শেষে কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ফোরকানীয়া মাদ্রাসা হয়ে পুনরায় কুচিয়ামোড়া কলেজগেটে এসে শেষ হয়। এতে উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার কয়েকশ মানুষ অংশ নেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মমিন আলী সমর্থক উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেনের সাথে সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সমর্থক কেয়াইন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ নাসিম খান ও তার লোকজনের সাথে রাজনৈতিক নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিলো। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও পক্ষপাতিত্বের জেরে মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে শেখ আব্দুল্লাহ সমর্থক মোঃ নাসিম খানের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন মমিন আলী সমর্থক মনির হোসেনের দোকান ঘরে হামলা চালায়।পরে মনির হোসেনের লোকজনসহ স্থানীয় জণসাধারণ মিলে মোঃ নাসিম খানকে আটকের পর হালকাপাতলা মারধর করে। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, কেয়াইন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসিম খানের নেতৃত্বে গতকাল আমার দোকান ঘরে ১৫/২০ জন হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরে আমাদের লোকজনসহ স্থানীয় এলাকাবাসী মিলে তাকে আটক করে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। আমি মমিন আলির সমর্থন করি বলে আমার দোকানঘরে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে তারা। হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় আওয়ামী লীগের কোন লোক জড়িত ছিলো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এখানে আওয়ামী লীগের কোন লোকজন ছিলো না শেখ আব্দুল্লাহর সমর্থক নাসিমখানের নেতৃত্বে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নেই।  তাই তারা কেউই এলাকায় নেই। তাহলে তারা এখানে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। তবে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগের লোকজনের জড়িত থাকার কথা ভুক্তভোগী  মনির হোসেন অস্বীকার করলেও তার দায়েরকৃত অভিযোগে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে বিবাদী করা হয়। সিরাজদিখান থানায় নাসিম খান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *