পুলিশের সামনেই মটর সাইকেল ও ঘর ভাংচুর॥ পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে লুটপাট

Spread the love

সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ
পুলিশের সামনেই মটর সাইকেল ও ঘর ভাংচুর॥ পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে লুটপাট করার অভিযোগ করেছে ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের নিমতলা শওকত মার্কেটের সামনে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার সময় এই ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনাটি ঘটেছে। সেলিম গ্রুপের ইউনুছ নামে ওই যুবককে মারধরের জেরে সেলিমসহ তার গ্রুপের লোকজন সাইফুল গ্রুপের লিটনের বাড়ীঘরে হামলা চালায়।

পরিবারের অভিযোগ লিটনের বাড়ি তালাবদ্ধ ছিল। সিভিলে থাকা পুলিশ লিটনের বাড়ির তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে সেলিম  গ্রুপের লোকজন লিটনের বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট চালায়।

সেলিম গ্রুপের সদস্য ইউনুছ (৩৫) কে মারধর করার নাটক তৈরী করে মামলায় শামীমকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে সাইফুল ও লিটনের বাড়িতে পুলিশ নিয়ে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতেই লিটনের বাড়ির সামনে থাকা দুটি মটর সাইকেল ভাংচুর করে। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় লিটনের বাড়িতে প্রবেশের জন্য তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে সেলিম ও সাইফুলের লোকজন লিটনের বাড়িতে লুটপাট চালায় পুলিশের সামনে। এমন একটি ভিডিও চলে আসছে ক্রাইমটিভির হাতে। ভাংচুরের পূর্বে নাটকীয়ভাবে বুধবার দিবাগত রাতে সেলিম গ্রুপের ইউনুছের ভাই ফজরকে বাদী করে সেলিম নেতৃত্ব দিয়ে লিটন, সাইফুল ও শামীমসহ ২৬ জনকে এজাহার নামীয় ও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের চালতিপাড়া গ্রামের মৃত মন্তাজউদ্দিনের ছেলে সেলিম একই গ্রামের তাজিম উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সেলিম গ্রুপ ও সাইফুল-শামীম-লিটন গ্রুপ মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থক।

স্থানীয়রা আরো জানায়, দুই পক্ষের দুইজনের মতাদর্শ ভিন্ন হওয়ায় প্রায় সময় তাদের দুই পক্ষের লোকজনের সাথে এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে। সেলিম অভিযোগ করছে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর অনুমান ১২ টার দিকে কেয়াইন ইউনিয়নের নিমতলা এলাকায় অবস্থিত শওকত মার্কেটের সামনে তাদের সমর্থক ইউনুছকে মারধর করে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে সাইফুল-লিটন গ্রুপের লোকজন। গুরুত্বর আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে সেলিম গ্রুপের ইউনুছ নামে ওই যুবককে মারধরের জেরে সেলিমসহ তার গ্রুপের লোকজন সাইফুল গ্রুপের লিটনের তালাবদ্ধ বাড়ীঘরে হামলা চালায়। বাড়ীতে থাকা দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুরসহ বাড়ীর আসবাবপত্র ভাংচুর করে তারা। সিরাজদিখান থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম ঘটনাস্থলেই ছিল। এ সময় সাইফুল, শামীম ও লিটন গ্রুপের মোঃ শামিম মিয়া (৪৭) কে আটক করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। সে চালতিপাড়া গ্রামের মৃত শেখ লাল চাঁন মিয়ার ছেলে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইফুল-লিটন-শামীম গ্রুপের সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমাদের লোকজন আওলাদ মৃধার প্রোগ্রামে যাচ্ছিলো। তখন সেলিমের লোকজন আমার এক লোককে মারধর করে। পরে এর জেরে ইউনুসকে আমার লোকজন হালকাপাতলা মারধর করেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে সেলিমের লোকজনরা লিটনের বাড়ীঘর ভাংচুরসহ দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে উল্টো আমাদের নামে থানায় মামলা দিয়েছে।

এ ব্যপারে ভুক্তভোগী সেলিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

এস.আই রেজাউল ঘটনাস্থলে তিনি সিভিলে ছিলেন। তিনিসহ অনেক পুলিশের উপস্থিতিতে দুইটি মটর সাইকেল ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। তিনি নিজে লিটনদের ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা সেই ঘরে প্রবেশ করে লুটপাট চালায়। এ বিষয়ে এস.আই রেজাউল জানান, আমিসহ অনেকেই সিভিলে ছিলাম। ওদের বিরুদ্ধে মামলা ছিলো মামলায় শামীমকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদিউজ্জামান জানান, ভিডিওসহ প্রমাণ থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *