প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ
সিফাত, রিফাত ও খুকুমনি গং কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত সম্পত্তি দখলমুক্ত চায় ফুফু নাজনীন আক্তার নাজমা। এই লক্ষ্যে নাজনীন আক্তার তার বাসস্থান মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলরসহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ সরেজমিনে এসে তার তিনটি দলিলের ১০শতাংশ ভূমির মধ্যে মাত্র ২শতাংশ ভূমি রাস্তাঘাট ছাড়া তাকে বুঝিয়ে দেন। অপরদিকে সিফাত, রিফাত ও খুকুমনি গং এস.এম.বারীর বসতবাড়িসহ মোট ৬৩ শতাংশ জমি জোর করে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে দখল করে নেয়। এমনকি পারিবারিক কবরস্থানে যাওয়ার যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে একতালা পাকা দালান নির্মাণ করে এই রিফাত, সিফাত খুকুমনি গং। সদর উপজেলার কালিঞ্জিপাড়া বর্তমান শহরের কোর্টগাও এলাকার বাসিন্দা অসহায় নাজনীন আক্তার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। অপরদিকে রিফাত, সিফাত ও খুকুমনি গং কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত সম্পত্তির দখলমুক্ত করতে সহযোগিতা চেয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসকল অভিযোগ তুলে ধরেন ভূক্তভোগী নাজনীন আক্তার।
দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মোকাদ্দমা চলমান অবস্থায় সদর ভূমি অফিসের তিনজন কর্মকর্তা নামজারী না করলেও একজন কর্মকর্তা অবৈধ সুবিধা নিয়ে মোট ৬৬ শতাংশ সম্পত্তি নামজারী করে দেয়। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এস.এম এ বারী তৎকালীন ভূমি কর্মকর্তা ও কানুনগোর বিরুদ্ধে অবৈধ সুবিধা নিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে সম্পত্তি নামজারি করে দেওয়ার অভিযোগ করেন।
পক্ষান্তরে ভূমি কর্মকর্তা ও কানুনগোকে বাঁচানোর জন্য সিফাত, রিফাত ও আব্দুল লতিফ এস.এম.এ বারীকে ভূমিদস্যু সাজিয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সিফাত, রিফাত ও খুকুমনি গংদের অবৈধ ব্যবসার বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠে।
এস.এম. এ বারী অভিযোগ করে বলেন, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা থেকে আগত লোকজন আমার বোনের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে আসলেও বোনের সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো আমার বসতবাড়িসহ আমার ভাই বোনের সম্পত্তি জোর করে দেয়াল দিয়ে জবর দখল করে নিয়েছে সিফাত, রিফাত ও খুকুমনি গং। আর আমার ভাই আব্দুল লতিফ আমার নিকট দুই দলিলে মোট ২২.৫০ শতাংশ জমি বিক্রি করিয়াছেন যাহা তিনি এখনো বুঝিয়ে দিতে পারেন নি। কিন্তু ওয়ারিশ দাবী করে আমাকে ও আমার পরিবারের সকল সদস্যকে হামলা মামলা ও হয়রানী করে আসছে। আমি এ সকল অন্যায়ের বিচার চাই।
নাজনীন আক্তার বলেন, আমার মায়ের ওয়ারিশসহ ১০শতাংশ জমির মধ্যে মাত্র ২শতাংশ জমি আমাকে রাস্তাঘাট ছাড়া বুঝিয়ে দিয়ে বাকী সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে আমার ভাতিজা সিফাত, রিফাত ও খুকুমনিগং।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার বাবার দলিল করে দেয়া ও মাতার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া পুরো সম্পত্তি ফিরে পেতে প্রশাসনসহ সাংবাদিক মহলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এস.এম এ বারীর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে নাজনীন আক্তার বলেন, আমার ভাইয়ের কাছে মায়ের ওয়ারিশ ছিল। সেটাসহ পুরো সম্পত্তি জবর দখল করে নিয়েছে সিফাত, রিফাত ও খুকুমনি গং। তিনি আরো বলেন, আমার ভাই এস.এম.এ বারী ভূমিদস্যু না তিনি কারো সম্পত্তি জবর দখল করেন নাই বরং সিফাত, রিফাত ও খুকুমনি গংরাই মূল ভূমিদস্যু। অবৈধ টাকা দিয়ে তারা আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি জবর দখল করে পাকা দেয়াল নির্মাণ করিয়াছে। এস.এম.এ বারীর দলীল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তার বিক্রিত ও ক্রয়কৃত সবমিলে মোট ৫৭.৩০ শতাংশ। এই সম্পত্তির হালনাগাদ খাজনা পরিশোধ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে রিফাতের সেল ফোন ০১৯৪২২১১৫০৪ নাম্বারে ফোন দিলে কর্মচারী দিয়ে রিসিভ করে বাহিরে আছেন বলে জানান।