মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মামলা করার দেড় মাস পরে সদর থানা পুলিশ ৬জন আসামীর মধ্যে একজন কিশোরগ্যাং সদস্য মো: সেলিম (২২) কে গ্রেফতার করেছে। সদর থানা পুলিশ সোমবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৫টার সময় পৌরসভার দক্ষিণ ইসলামপুর রাইস মিল থেকে এই আসামীকে গ্রেফতার করে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আসামীরা। এই মর্মে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। মামলা ও সাধারণ ডায়েরী করার পরেও কিশোর গ্যাংদের উৎপাতে দিশেহারা আয়নাল হক শ্রাবন ও তার পরিবার।
আয়নাল হক শ্রাবন জানান, মোঃ ফারুক (৩০), সানাউল্লাহ (৩৮), মোঃ শামীম (৩০), মোঃ জুম্মন (২৬) সর্ব সাং-দক্ষিণ ইসলামপুর, থানা ও জেলা-মুন্সীগঞ্জ গণের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। কিশোরগ্যাং নেতা মো: ফারুক। তার নেতৃত্বে ১০-১৫জন কিশোর গ্যাং বিভিন্ন অপরাধ সংঘঠিত করে আসছে।
শ্রাবনের সাথে বিবাদীগণের জায়গা সম্পত্তি নিয়া বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জেরে শ্রাবনসহ তার ভাই মোশারফ হোসেন এবং ভাতিজা ফয়সাল’কে মারধোর করে। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে ০৬ জনকে আসামী করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ২৬ মে একটি মামলা করে। মামলা নং ৪৩। ৪জন আসামী আদালত থেকে জামিন নিয়েছে বাকী দুইজনের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ অপরজন নাসির (২৬) পলাতক রহিয়াছে।
বুধবার (২৯ মে) সকাল ০৮:০০ ঘটিকার সময় মুন্সীগঞ্জ থানাধীন দক্ষিণ ইসলামপুর সাকিনস্থ বিবাদী মোঃ ফারুক রিক্সার প্যারেজের পিছনে ইটের রাস্তার উপর বিবাদীগণ দায়েরকৃত মামলাটি তুলে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন।
মামলা তুলে না নেয়া হলে বাদীকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলারও হুমকি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে এস.আই নাজমুল হাসান জানান, দুইজন আসামী পলাতক ছিল। অদ্য সেলিমকে গ্রেফতার করেছে অপর পলাতক আসামী নাসিরকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।