মুন্সীগঞ্জে যুবদল নেতার মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন

Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা মুন্সিগঞ্জ ক্রাইম টিভি।

মুন্সিগঞ্জের আধারা ইউনিয়নের জাজিরা প্রান্তে ‌ মেঘনা নদীর পাড়ে রাতের আঁধারে যুবদল নেতা শান্ত (৩৫) ‌ এর মৃত্যু নিয়ে জনমনে রহস্যের দানা বেঁধেছে।
এর পিছনে জমিসংক্রান্ত বিষয় জড়িয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে অনেকে। রাতে আহত অবস্থায় ‌ শান্তকে হাসপাতালে নিয়ে আসে যে গাড়িটি ,‌ সেটির বিষয়েও কোন সঠিক খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সদর উপজেলার যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক নেতা শান্ত কে শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ময়না তদন্ত শেষে ‌ ২ই নভেম্বর শনিবার রাতে তার নিজ বাড়ি ‌ উত্তর চরমশুরা গ্রামে নিয়ে আসা হয় এবং জানাজা শেষে রাতে দাফন করা হয়।
এদিকে পুলিশ বলছে শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে একটি স্পিডবোটে করে ৮ -১০ জন সাথে নিয়ে ‌ যুবদল নেতা শান্ত জাজিরা প্রান্তে মেঘনা নদীতে জান । এই সময় দ্রুতগতির ইন্জিন চালিত মাছ ধরার ট্রলার এর সাথে স্পিডবোডের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচজন গুরুতর আহত হয় এবং তাদেরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

তবে নিহতের পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে শান্তকে,সে নদীতে যায়নি। শান্ত মুন্সিগঞ্জ সদরের দরবার কমিউনিটি সেন্টারের উপরে একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন। পরিবার সূত্রে জানা যায় শুক্রবার রাত ৯টার দিকে জরুরী কাজের কথা বলে শান্ত বের হন। ঘন্টাখানেক বাদে রাত আনুমানিক ১০টায় রক্তাক্ত অবস্থায় সদর হাসপাতালে আনা হয় শান্ত কে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে। সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শান্তকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছোট ভাই মামুন সরকার বলেন আমার ভাই নদীতে যায়নি ‌ হত্যাকাণ্ডটি পূর্ব পরিকল্পিত। যদি স্পিডবোডের সংঘর্ষ হতো আমার ভাইয়ের শরীর একটু হলেও ভিজা থাকতো। আমার ভাইয়ের ‌ বুকের পাঁজর ভাংগা ছিল এবং মাথায় ধারালো কিছুর আঘাত ছিল তাছাড়া নদীর পাড়ে সাদা হাইস গাড়ি ‌ এত দ্রুত কোথায় থেকে এলো এবং হাসপাতালে নিয়ে আসলো, কার গাড়ি এটি?
নিহতের আরেক ছোট ভাই অনিক সরকার বলেন আমার ভাই অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিলেন। সারা গ্রাম খুঁজেও উনার মতো একজন ভালো মানুষ ও পাওয়া যাবে না। তাকে ঢেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক তদন্তের বিচার চাই।
মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেল পুলিশ ‌ সুপার ‌ মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‌ প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় ঘটনা টি ট্রলার ও স্পিডবোটের এর সংঘর্ষে হয়েছে। ঘটনাস্থল ও আশেপাশে এলাকা মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায় বালু মহল কেন্দ্রিক কোন কিছু সম্পর্কে জানা যায়নি। তার পরিবারের মৌখিক অভিযোগ গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে ‌ তাছাড়া শান্ত কে নিয়ে আশা মাইক্রোবাসটিও সনাক্তের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *