মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
পিতা মাতার ভরণ পোষণ চেয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে মামলা করেছে বাবা দিদার হোসেন (৬০)। সিআর মামলা নং ১৩২/২৫ ধারা: পিতা মাতার ভরণ পোষন আইন ২০১৩ এর ৫(১)২)। রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৫) ও ছেলের বউ রাশেদা বেগম (৩০) এর বিরুদ্ধে এই মামলা রুজু করা হয়েছে। বাবা ও মাকে মারারও অভিযোগ করা হয়েছে এই মামলায়। মামলার সূত্র থেকে জানা যায়, আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাশেদা বেগম অত্যাচারী, লোভী এবং পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান। তারা উভয স্বামী ও স্ত্রী মুরুব্বিদের সম্মান করা জানে না । যে কারোর সাথে খারাপ আচরণ করে থাকে ।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, খাদিজা বেগম অভিযোগকারীর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তাদের কোন প্রকার ভরন পোষন ও চিকিৎসা বাবদ খরচ প্রদান না উল্টো মারধর করে এবং বাড়ির জায়গা লিখে দিতে বলে। অভিযোগকারী বাবা তার ও স্ত্রীর ভরন পোষন ও চিকিৎসার জন্য টাকা চাইলে কোন প্রকার চিকিৎসার খরচ প্রদান করতে রাজিন নন মামালার আসামী ছোট ছেলে ও ছেলের বউ।
অভিযোগকারী তার নিজ সম্পত্তিতে উত্তোলনকৃত বসবাসকৃত ঘরটি মেরামত করিতে গেলে ছেলে আমিনুল ইসলাম মেরামত করতে আনা ঘরের কাঠ, সিমেন্ট এর খুটি ফেলে দেয় এবং কাঠের বেড়া করাত দিয়ে কেটে ফেলে। অনুমান ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে দাবী বাবা দিদার হোসেনের। দিদার হোসেন আরো জানায় পুত্র খারাপ এর জন্য আমার পরিবেশ দায়ী , আমার আরেক পুত্র আছে তার জন্য কেউ কোন মন্দ রিপোর্ট করতে পারে না , যেমন নামাজ রোজা ,হক আদায়ে খুবই ভালো । এইটা খারাপ এর জন্য পিতা হিসাবে আমার ঘাড়ে পড়ছে। ছেলের বৌ এর কোন তুলনা হয় না মন্দ কাজের জন্যে দিদার হোসেন বলেন।
অভিযোগকারী অভিযোগ করেন তার নামীয় সম্পত্তি আসামী ছেলে ও ছেলের বউয়ের নামে লিখে না দিলে উক্ত ঘর মেরামত করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়। পিতা দিদার হোসেনের সম্পত্তি ছোট ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৫) ও ছেলের বউ রাশেদা বেগম (৩০) এর নামে লিখে দিতে অস্বীকার করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে কাঠের ডাসা দিয়া পিতা দিদার হোসেনকে আহত করে। তার মাকেও নীলাফুলা জখম করে। ছেলের বউ রাশেদা বেগম শ্বাশুড়ীর চুলের মুঠি ধরে টানা হেচড়া করে এবং চর থাপ্পর, কিল, ঘুষি মেরে আহত করারও অভিযোগ আনা হয়েছে এই মামলায়।
বাবা ও মাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ছেলে বলেছেন তোরা যদি আমার নিকট কোন প্রকার ভরন পোষন দাবী করস তাহলে তোদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবো। পিতা ও মাতাকে কোন প্রকার ভরন পোষন দিতে পারবে না। গত বৎসরও ভরন পোষন চাওয়ার কারণে মাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
শ্রীনগর থানায় মামলা করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা আমলে না নিয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ প্রদান করেন এমন কি তদন্তের নামেও চলে গড়িমসি।
১১.০৩.২৫খ্রি.