মুন্সীগঞ্জে পিকাপ ভর্তি সরকারি বই বিক্রি!

Spread the love
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল এলাকার স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন ও কলেজ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি বই চোরাই ভাবে পিকআপ ভর্তি করে বিক্রি করতে যাওয়ার সময় সময়ে ছাত্রদের হাতে আটক হয়। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার সময় এই ঘটনা ঘটে। অবৈধভাবে বিক্রির জন্য নেয়া পিকাপ ভ্যানে বোঝাইকৃত বই ২০২৪ সালের অব্যবহৃত অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই ছিল।
পরবর্তীতে অবস্থা বেগতিক দেখে পিকআপটি ঘুরিয়ে কলেজের ভিতরে এনে বইগুলো পিক আপ থেকে নামানোর চেষ্টা করে। এই সময় ঘটনাস্থলে সাংবাদিক উপস্থিত হলে অবস্থা বুঝে সটকে পড়েন জড়িত দুই শিক্ষক।
বই আটককৃত ছাত্ররা জানান, কলেজ থেকে ত্রিপাল মোড়ানো একটি পিকআপ বের হলে তাদের সন্দেহ হয়। স্কুল এন্ড কলেজ থেকে কি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পক্ষান্তরে তারা পিকআপ থামিয়ে চেক করা হলে ত্রিপাল খুলতেই ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে বিগত বছরের নতুন সব বই। পরবর্তীতে সাংবাদিক উপস্থিত হলে শিক্ষকরা সটকে পড়েন ।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো: ইসমাইল হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তিনি জানান সরকারি বই তাদের বিক্রি করার কোন এখতিয়ার নেই এটি আইনগত ভাবে অবৈধ। এবং এ বিষয়ে তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপজেলা অফিস থেকে একাডেমিক সুপারভাইজার প্রদীপ পাল কে সেখানে পাঠানো হয়। তিনি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে জানান এগুলো আইনগতভাবে স্কুল থেকে বিক্রি করার কোন নিয়ম নেই। অবৈধভাবে এই বই বিক্রি হইতেছি। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনার সাথে দুইজন শিক্ষক জড়িত রয়েছেন।
উপজেলা অফিস থেকে একাডেমিক সুপারভাইজার প্রদীপ পাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে বিক্রির কথা জানালেও প্রধান শিক্ষক স্বীকার করছেন না বই বিক্রির কথা। তবে প্রধান শিক্ষকের সামনেই অপর দুই শিক্ষক জানান প্রদান শিক্ষকের সম্মতিতেই বিক্রি হচ্ছিল এই বই। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় প্রধান শিক্ষকের তত্ত্বাবধানেই বিক্রি হচ্ছিল এই বই।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিনউদ্দিন এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান ঘটনাটি তিনি জেনেছেন তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তবে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *