মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
পূব শত্রুতার জের ধরে মো: জাহিদ হাসান (২৯) কে মারধর করার অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পানহাটা গ্রামে ৪এপ্রিল বিকাল ২টায় ঘটনাটি ঘটে ।
বাদী মোঃ জাহিদ হাসান (২৯) জানান, একই গ্রামের মো: সুমন ব্যাপারী (৪২), সোহেল ব্যাপারী (৩৮) বাদীর ফলের দোন থেকে বাকী ফল ক্রয় করতো। এ পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করেই (০৪ এপ্রিল) বিকাল ২টার সময় ইট পাটকেল দিয়া জাহিদ হাসানকে আঘাত করে। ফল ব্যবসায়ীর সাথে ক্রেতার দুইভায়ের অনেক দস্তাদস্তি হয়। ঘটনাস্থলে ভাতিজা সাইফুল উদ্ধারে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে সুমন ও সোহেল।
মারধর করার পরে এ বিষয় নিয়ে কোন শালিশ দরবার করলে পরিবারের কাউকে বাড়িঘরে শান্তিতে থাকতে দিবেনা বলেও বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের ও মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
জাহিদ হাসান বাদামতলী পাইকারী ফলের ব্যবসা করেন। ধলাগাও বাজারে সুমন ও সোহেল ফলের ব্যবসা করে। বাকী ও নদগে জাহিদের কাছ থেকে ফল এনে ব্যবসা করে আসছিল।
এছাড়াও অনেকের কাছ থেকে বাকীতে ফল ক্রয় করে এনে ব্যবসা করে আসছেন। জনি এন্টার প্রাইজ থেকে হাজী:সিদ্দিক তালুকদার=৬৪০৮৫০, তালুকদার ফার্ম হাজী: মোশারফ তালুকদার=৩৮৬২৭০, জোড়াইদেওল ফার্ম
আবুল বেপারী ও কাজল বেপারী=২৬০৫০০, আনিকা ফোর্ডস আলমগীর মোল্লা=১৯৫০০০, আর অনেকে টাকা পাবে প্রায় ২০/২৫ লাখ টাকা নিয়ে ওরা ঢাকা বাদামতলী থেকে ২০২৩ সালে পালাই যায়। পরবর্তী দুই ভাই নিখোঁজ হয়ে যায়। আগষ্টের পরে (মার্চ) রমজান মাসে তারা বিএনপি হয়ে জেগে উঠে।
জাহিদ জানান, সুমন ও সোহেলের সাথে বসে কথা বলা হয় পরে ওরা ২ ভাই রোজই টাকার দেয়ার তারিখ দেয় কিন্তু টাকা দেয় না। পরে ঈদের পর টাকা চাইতে গিয়ে আমি হামলার স্বীকার হই।
এ বিষয় জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জিডি তদন্ত করে প্রসিকিউশন দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। যাতে ভূক্তভোগী ন্যায় বিচার পায়।