মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের বজ্রযোগীনী ইউনিয়নের ডেকরা পাড়ায় পরকিয়া সম্পর্কের জের ধরে হামলা ঘরবাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় অন্যতম আসামী ইয়াছিন গ্রেফতার হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলামের নির্দেশে রোববার (১২ মে) দুপুরে সদর থানার সদর এস আই জাহিদ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের খবর শুনে এলাকায় ভুক্তভোগী মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জানা যায, ডেকরাপারায় আনিছের স্ত্রীর সাথে পরকিয়া বাঁধা দিলে ইয়াছিন কৃষক আনিছকে দুই দফায় বেদম মারপিট করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় । এঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ডেকরা পাড়ায় দুলালের দোকানের সামনে মো. আনিছ (৩৫) প্রতিবেশী ইয়াছিনের (৪০) এর সাথে তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয় আনিছের স্ত্রীকে নিয়ে। এক পর্যায়ে আনিছকে বেদম পিটায় ইয়াছিন। এ সময় ইয়াছিন এর হাতে ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্নাংশে কুপিয়ে জখম করে আনিছকে। পরে স্থানীয় একটি ফার্মীসিতে আনিছ চিকিৎসা নিতে আসলে সেখানেও লোকজন জড়ো করে ২য় দফায় আবারো আনিছকে পেটায়। এসময় আনিছের সাথে থাকা স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে আনিছের বসতভিটায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ইয়াছিন ও তার লোকজন।
এই ঘটনায় আনিছের বোন কমলা আক্তার বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় ১১জনকে দায়ী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন বজ্রযোগীনী ইউনিয়নের ডেকরাপাড়া এলাকার মৃত বারেক মাদবেরর পুত্র ইয়াছিন মাদবর, আবু সাঈদ মাদবর, নাছির মাদবর। এছাড়াও আশিক মাদবর, ইমরান মাদবর, আবদুল মাদবর, রাবেয়া বেগম, ময়না বেগম, লাকি বেগম, খুশি বেগম, শাওন শেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩ থেকে ৪ জন।
এদিকে একাদিক স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান, আনিছের স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশী ইয়াছিনের প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে। এই সম্পর্কের জন্য আনিছের ঘর সংসারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
এদিকে বাদী কমলা আক্তার জানান, আমরা আগে থানায় অভিযোগ দিয়েছি লম্পট ইয়াছিনের বিরুদ্ধে এখন ইয়াছিন আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। ইয়াছিন ও তার ভাইয়েরা এলাকায় ভিলেজ পলিটিক্স করে আমাদের বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে।
এ বিষয়ে সদর থানার এস আই জাহিদ বলেন আমরা অভিযুক্ত ইয়াছিনকে গ্রেফতার করেছি এখন তার সহযোগীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।