নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে ছাত্রলীগের নেতার মারধর ও হত্যার হুমকিতে আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে নিলুফা বেগমের পরিবার। কোনো কুলসুল না পেয়ে গতকাল সোমবার ওই ছাত্রলীগ নেতা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সোয়াদ শেখ (৩০)। সে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা ও পশ্চিম দেওভোগ এলাকার সেলিম শেখের ছেলে। এ ঘটনায় মো. সিয়াম (২৭), মো. অলিদ (৩৩), সেলিম শেখ (৬৫), মোহাম্মদ পিন্টু (৫০) ও মোহাম্মদ জন্টু (৫৫) নাম রয়েছে। তারা একই পরিবারের সদস্য।
এর আগে ৮ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফা মারধর ও হামলার শিকার হয়েছে এই পরিবারটি। এসব ঘটনায় এর আগেও দুটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও তার কোনো প্রতিকার পায়নি। এতে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে তথাকথিত ওই ছাত্রলীগ নেতা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র একই এলাকার অভিযুক্ত সেলিম শেখের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোয়াদ শেখ ও সিয়াম শেখ তাদের দলবল নিয়ে নাজমুল হকের বাড়ী-ঘর ভাংচুরের চেস্টা করে। পরে থানার নিরাপত্তা চেয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নাজমুল শেখ। সেই সূত্রধরে একাধিকবার ডায়েরি তুলে নেয়া হুমকি দিয়ে ও মারধরের মত ঘটনা ঘটায় সোয়াদ ও সিয়ামরা। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সালিশ-মিমাংসা হওয়ার পর বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হইয়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টার দিকে সাধারণ ডায়েরির বাদি মো. নাজমুল হক (৫০) কর্মস্থল থেকে বাড়ীতে ফেরার সময় উল্লেখিত আসামীরা মারধর করে উঠিয়ে নেওয়ার চেস্টা করে এবং বিভিন্ন ধনের হুমকি-ধামকি দেয়। এতে ওই পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। তার একমাত্র মেয়েকে তুলে নেওয়ারও হুমকি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও নিলুফার ভাই দেলোয়ার শেখের দোকানে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ছাত্রলীগ নেতার লোকজন।
নিজের অসহায়দের কথা প্রকাশ করে নিলুফার বেগম বলেন, বর্তমানে আমার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে চরমভাবে আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছি। তারা আমাদের হত্যা করাল লক্ষে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা এতদিন বাড়িতে অবরুদ্ধ ছিলাম। সোমবার কোনোমতে পালিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খলিলুর রহমান জানান, এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।