মুন্সীগঞ্জে চাঁদা না দেয়ায় মারধর, বাড়িতে গৃহবন্দি একটি পরিবার

Spread the love

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড চরমুক্তারপুর সন্তোষপুর গ্রামে সন্ত্রাসীদের দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের ঘটনার পর বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা ভুক্তভোগী পরিবার। প্রাণনাশের ভয়ে বর্তমানে বাড়িতে গৃহবন্দি রয়েছে এ পরিবারটি। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত প্রশাসনিক কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। পুলিশের বক্তব্য একটাই থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ভূক্তভোগী বলছেন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের ভয়ে বাড়ী থেকে বের হতে পারছেন না। বাড়ি থেকে বের হতে না পারলে পুলিশের কাছে কিভাবে লিখিত অভিযোগ করবেন সেটাই ভাবনার বিষয়।

সরেজমিনে প্রতিবেদন: ভুক্তভোগী আকবর আলীর ছেলে আব্দুল করিম সরদার জানান,আমার পৈত্রিক বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের জাজিরা সৈয়দপুর গ্রামে। আমি বর্তমানে চরমুক্তারপুর সন্তোষপুর এলাকায় জমি ক্রয় করে সেখানে একটি ৪তলা বাড়ি তৈরী করি। যখন আমি বাড়ি তৈরীর কাজ শুরু করি তখনও আজকের হামলাকারী চাঁদাবাজ আমার কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নেয়।

আব্দুল করিম সরদার আরো বলেন, গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ৯টার সময় মুক্তারপর সেতু টোলপ্লাজার সামনে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন আমার কাছে। এসময় চাঁদা দাবীকারী বলেন,যদি চাঁদা না দিস তাহলে ঐ এলকায় থাকতে পারবে না।

এরই সূত্রধরে সোমবার সকালে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন তার সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে করিম সরদারের ছেলে মাসুম সরদার তার কর্মস্থল চায়না ফ্যক্টরীতে যাওয়ার পথে তার গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এসংবাদ পেয়ে করিম ও তার বাড়ির লোকজন এগিয়ে যায় তার ছেলেকে উদ্বার করতে । তখন আবুল হোসেন ও তার সঙ্গীয় লোকজন তাদের উপর হামলা চালায় এতে মাসুম আহত হয়। এক পর্যায়ে করিম সরদার ও তার লোকজনদের নিয়ে বাড়িতে চলে গেলে আবুল হোসেন তার বাহিনী দিয়ে করিম সরদারের বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল করিম সরদার বলেন, আমি সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা। একটু সুযোগ পেলেই থানায় গিয়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা করব।

এ বিষয়ে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, আমরা তাদের কাছে কোন চাঁদা দাবী করেনি। করিম তার বাড়িতে বহিরাগত লোকজন এনে আড্ডা ও মাদক ব্যবসা করে তাই আমরা সামাজিকভাবে তা প্রতিহত করতে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদের সাথে মারামারি হয়েছে। করিম সব সময় বহিরাগত লোকজন নিয়ে মাদক ব্যবসা করে থাকে।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থ পুলিশ পাঠিয়েছি। মারামারির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি কেউ, অভিযোগ দায়ের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *