মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সন্ত্রাসীদের দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় প্রবাসীকে অপহরন,লুট হওয়া সরকারী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা

Spread the love

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের বাঘড়া গ্রামের প্রবাসী মনির হোসেনের কাছে পঞ্চাস লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবী করে একই এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্রসফায়ারে নিহত তাজেলের ছোট ভাই বর্তমানে সাজু গ্যাংগের নেতা সন্ত্রাসী সাজু। তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে রাজি হয়নি প্রবাসী মনির। প্রবাসী মনির ইদানিং দেশে এসে একটি জমিক্রয় করেন। সেইসূত্রে গত ৩১ /০৮/২০২৪ইং তারিখে সন্ধ্যা ৬টার সময় মনির ক্রয়কৃত জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে বাঘড়া ইউনিয়নের রুদ্রপাড়া (চরপাড়া) যায় স্থানীয় মেম্বার আক্কাসসের কাছে। কথা শেষ করে আসার পথে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী সাজু গংরা তার গতিরোধ করে আগ্নেয়াস্ত্র টেকিয়ে চোখে কালো কাপড় বেঁধে মনিরকে অপহরণ করে বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়। মনির চোখ খুলে দেখে সে একটি ঘরের ভিতরে পাশে বেশ কয়েজন সন্ত্রাসী আর তাদের সকলের হাতে থানায় ব্যবহারিত পুলিশৈর আগ্নেয়াস্ত্রেরমত।এসময় সন্ত্রাসীরা কিল,ঘুষিসহ তাদের থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারী মারধর করে। মনিরের হাতে থাকা স্মাট ফোন ভিভো যাহা ইএমই নং ৮৬৩০৫৭০৬৯৩৪০০৯৫ ও মানিব্যাগ এ থাকা ১৫ হাজার টাকাসহ ব্যাগ নিয়ে যায়, তাদের মারধরের পর মনির জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফিরে দেখে রাত অনুমান  ৯ টার সময় নৌকার মাঝে সে আড়িয়ল বিলের মাঝখানে । এসময় বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে দাবীকৃত ৫০ লক্ষা চায় এবং না দিলে তাকে মেরে পানিতে ফেলে দিবে বলে সন্ত্রাসী সাজু। হাত পা বেধেঁ মেরে বিলে ফেলা দেওয়ার চেষ্টাকালে অনেক দস্তাদস্তির একপর্যায়ে মনির পানিতে লাফ দিয়ে কচুরীপনার নিচে লুকিয়ে থাকে আর সন্ত্রাসীরা তাকে খুজে না পেয়ে চলে যায়। ভোররাত ফজরের আযানের সময় মনির আস্তে আস্তে কিনারায় এসে পানি থেকে উঠে বাড়িতে চলে আসে। পরে এবিষয়ে মনির হোসেনের মামা আনোয়ার হোসেন তাকে শ্রীনগর উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করায়। পরে ০২/০৯/২০২৪ইং মনির হোসেনের বোন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানার একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আলোকে পুলিশ আসামীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় মঙ্গলবার ০৩/০৯/২০২৪ইং তারিখে ন্যায় বিচারের প্রত্যয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন উক্ত মামলার বাদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *