মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর বাঘড়া ইউনিয়নের পঞ্চাশ বছরের পুরোনো দেড়তলা ঘর পুরে ছাই করেছেন প্রতিপক্ষ। এমনটিই অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। ঘটানাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে।
অভিযোগ সূত্রে পাওয়া যায় ইউনিয়ন বাঘড়া গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলছে। প্রশাসন এ বিষয়ে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। রোববার গভীর রাত দেড়টার পর (৬ই অক্টোবর) একদল সন্ত্রাসী মৃত শেখ সৈয়জুদ্দিনে পুত্র শেখ ওসমান চৌকিদারের খালী বাড়ী পেয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছিটিয়ে ৫০ বছরের পুরনো ঘরটি পুড়ে ছাই করে দিয়েছে। থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ৯৯৯ খবর দিয়েও কোন কাজে আসেনি। শেখ ওসমান চৌকিদার (৯৮) বৃদ্ধ বয়সে তার স্ত্রীকে নিয়ে কোন মতে বেঁচে যায়। ভোর বেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উল্টো ভুক্তভোগীদেরকে নানা চাপে রাখার চেষ্টার অভিযোগে পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ওসমান চৌকিদার পুত্র এমারত জানান, আমি আমার ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় ছিলাম। আমার মেজো ভাবির কাছ হতে জানতে পারি আমার বাবার পুরোনো দিনের ঘরটিতে আগুনে জ্বলছে, ফায়ার সার্ভিস কল করে আগুন এর বিষয়ে জানাই, পরে থানার ডিউটি অফিসার কে আগুনের বিষয়ে জানালে রাতে পুলিশ না এসে সকালে বেলায় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশের ভূমিকায় বুঝতে পারছি আমার শত্রু পক্ষ এই আগুন দিয়েছে। ঘটনায় জড়িত মেজবাহউদ্দিন খান ম্যাগনেট ও তাজুলের এর হুকুমে এই ঘরটি পুড়িয়েছেন।
অভিযোগকারী আরো জানান, এলাকার কিছু শত্রু পক্ষ ঘর পুড়িয়েছে। ঘর পুড়িয়ে দেয়ার সাথে জড়িত, নুরুল হক ভুট্টু ( ৪২) রমজান (৩৫) নুরুজ্জামান (৩৫) বাবু (৩৪) শাখায়েত (২৪) মানিক ভূঁইয়া (২৪) লাদেন (২৬) ও রাইসুল মানিক (২০)। এরা রাতের আঁধারে ঘরটিতে আগুন দিয়েছে।
এ বিষয় অভিযুক্ত ব্যক্তি তাজুল মাদবর বলেন, এই আগুন ওসমান চৌকিদারের লোকজন লাগিয়েছে, তারা সন্ত্রাস তাদের সাথে ম্যাগনেটের বাগ বাটোয়ারা মিলে নয় বিধায় তারা এলাকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে বেড়াচ্ছে এবং রাতের বেলায় তিনটি ঘরে আগুন লাগিয়েছে। তাজুল মাদবরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি বয়স্ক লোক আমি এই ধরনের কাজে জড়িত না, যখন বলা হয়, আপনি কি করে দেখলেন ওসমান পরিবারের লোকজন আগুন লাগিয়েছে ? তখন তিনি আর কোন উত্তর দিতে পারেনি। তার রাজনৈতিক ফিরিস্তি দিতে থাকেন সে অনেক ভালো, তার বিরুদ্ধে গত সরকারের আমলে কোন মামলা কেউ দেয় নাই।
এ বিষয়ে থানার ওসি এবং শ্রীনগর সার্কেল ফোন দিলে তারা ফোন রিসিভ করেনি। ইতিমধ্যে অত্র এলাকার একাধিক ক্রাইমের সাথে অত্র নাম গুলো জড়িয়ে আছে বলে জানা যায়। এমন কি এলাকায় একের পর এক ঘটনা বিচার না হওয়ায় ঘটেই চলছে । কোন সময় পুলিশের তপ্তরতা নাই বললেই চলে । যখন যারা এলাকার রাগব বোয়ালদের রাজি খুশি করে তারাই এলাকায় হিংস হয়ে কাজ করছে। কারো মেয়ে, কারোর সন্তান বা কয়েক ডজন আসামী এলাকায় ঘুরে বেড়ায় জন মনে আরো আতংক ছড়িয়ে পরছে।
এ বিষয় জেলা পুলিশ সুপার কে অবগত করলে, তিনি জানান থানাতে অভিযোগ করলে আইনানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার মহোদয়। তিনি আরো বলেন অভিযোগের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সংবাদ মাধ্যমকে।