স্টাফ রিপোর্টার
মামলা নেয়ার ৪ মাস অতিবাহিত হলেও আসামী ধরার কোন তৎপরতা নেই পুলিশ প্রশাসনের এমন অভিযোগ করেছেন সোহেল শেখের ভাই জুয়েল শেখ। ভাই জানান, আসামী এলাকায় এবং আসপাশের গ্রামে ঘুরাঘুরি করলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সদর থানায় মামলা করা হয়েছে ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ইং তারিখ যার নং-২১। ঘটনার ২মাস পরে থানায় মামলা রুজু হয়।
পূর্ব বিরোধের জের ধরে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউপির ডিঙ্গাভাঙ্গা এলাকার সোহেল শেখকে ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখে সকাল ১১টার সময় প্রকাশ্যে দিবালোকে পিস্তল দিয়ে সাগর শেখ (৩০) মটর সাইকেল দিয়ে এসে পেটে গুলি করে। চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ নাঈম শেখ (২৮) পিস্তল এনে সাগরকে দেয় সগার মটর সাইকেলে এসে চারজন লোকের সামনে পিস্তল দিয়ে পেটে গুলি করে। গুলি পেট ভেদ করে বের হয়ে মারাত্মক যখম হয়। বর্তমানে সোহেল শেখ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোহেল শেখের ভাই জুয়েল শেখ সাংবাদিকদের জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায় মটর সাইকেলে গিয়ে পকেট থেকে পিস্তল বের করে গুলি করছে। সকল প্রমাণ থাকার পরেও কেন পুলিশ আসামী ধরছে না আমার বুঝে আসে না। আসামীরা হলো সাগর শেখ (৩০), পিতা- নাজির হোসেন, মোঃ নাঈম শেখ (২৮), পিতা-চাঁন মিয়া ওরফে চানু, নাজির হোসেন মুন শেখ, সাইদ শেখ (৩০), পিতা-চাঁন মিয়া চানু, মেহেদী শেখ (২১), মুন্না শেখ চত্রিকায় বাচনি (২৫) উভয় পিতা-নাজির হোসেন, সর্ব সাং- ডিঙ্গাভাঙ্গা। ঘটনার দিন ৩২ হাজার টাকা দামের স্যামসাং স্মার্ট মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায় সাগর। গুলিবিদ্ধ সোহেল শেখের মোবাইল ফোনটিও এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি।
বাদী লাকী আক্তার সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দুইমাস পরে মামলা হয়েছে। মামলা হয়েছে আজ ৪মাস। কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি ছিনিয়ে নেয়া আমার স্বামীর মোবাইলটিও উদ্ধার করেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে মামলার আয়ু এস.আই শিমুল জানান, আমি একটা তদন্ত কাজে আছি পরে ফোন দিতে হবে।