বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন: সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব, হারুন সিকাদার ও মহিউদ্দিনসহ ৩২০জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা

Spread the love
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
অবশেষে বৈষম্য বিরোধী হতাহতের মামলায় ফেঁসে গেলেন মানব পাঁচার কারী, ইদ্রিরা, জেলা আওয়ামীলীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগকে কোটি কোটি টাকা দিয়ে ফ্যাসিষ্ট সরকারের হাত শক্তিশালি করা আমিনুর রহমান হারুন সিকদার। মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় আদালতের আদেশে এই মামলাটি এফআইআরভূক্ত করেন থানার অফিসার ইনচার্জ এম সাইফুল আলম পিপিএম। ১২ এপ্রিল সোমবার সদর থানার মামলাটি হয় যার নং ১১। বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পরে সদর থানা সিআর মামলাটি এফআইআরভূক্ত করতে বাধ্য হন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরের কৃষি ব্যাংকের সামনে সামনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় ১৭০ জনকে নামীয় এবং ১০০ থেকে ১৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে কোর্টে একটি পিটিশন মামলা করা হয়। মামলায় মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের পলাতক এমপি ফয়সাল বিপ্লবকে প্রধান আসামী করা হয়। ২৭ মার্চ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন শহরের উত্তর ইসলামপুরের বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আব্দুল মতিনের ছেলে রোকনউদ্দৌলা রাফসান (২২)।
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক পিটিশন মামলাটি সিআর মামলা ৩১০/২৫টি মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় এফআইআর ভূক্ত করার জন্য ঐ দিনই আদেশ দেয়। ১৪ এপ্রিল সোমবার সদর থানার মামলাটি হয় যার নং ১১। বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পরে সদর থানা সিআর মামলাটি এফআইআরভূক্ত করতে বাধ্য হন।
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে আহত করার ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৭০জন এজহার নামীয় আসামী করে ১৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। প্রধান আসামী মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব (৫৫), মিরকাদি পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন (৫২), রিপন হোসেন পাটোয়ারী (৪২), আওয়ামীলীগের জেলা সভাপতি ও ৮বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো: মহিউদ্দিন (৭০), সামছুল কবির মাস্টার (৬০), আফছার উদ্দিন ভূইয়া (৬০), আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. সোহানা তাহমিনা (৪৫), শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ভূইয়া (৫০), শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন সাগর (৩০), শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নছিবুল ইসলাম নোবেল (৩৮), সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি নিবির আহম্মেদ (৩২), সাধারণ সম্পাদক আলমগীর (৩২), জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা (৩৪), সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়া (৩৮), সাধারণ সম্পাদক লাকুম রাঢ়ী (৩৮), রামপাল ইউনিয়নের পলাতক চেয়ারম্যঅন মো: বাচ্চু শেখ (৫৫), শহর আওয়ামলীগের দপ্তর সম্পাদক রায়হানুজ্জামান রাসেল (৩৮), গজারিয়া পুরান বাউশিয়া আমিনুর রহমান হারুন সিকদার (৪৮) পিতা মৃত আব্দুস সামাদ সিকদার, পলাতক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজল হাসান সোহেল (৪৫) সহ ১৭০জনসহ অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০জন।
অভিযোগ উঠছে আসামী পক্ষের মধ্যে গজারিয়া উপজেলার পুরান বাউশিয়ার মৃত আব্দুস সামাদ সিকদারের ছেলে ফ্যাসিষ্ট সরকারের সকল কাজে অর্থ দিয়ে সহযোগিতাকারী আমিনুর রহমান হারুন সিকদার (৪৮) এই মামলা প্রত্যাহারের জন্য বড় ধরনের আর্থিক বিনিয়োগ করেছেন। বাদীর মামলা প্রত্যাহারের কপিও থানায় বিবেচনার জন্য প্রেরণ করেছে আদালত। মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি এখন থানা বিবেচনা করে কি করে সেটাই দেখার বিষয়। হারুন সিকদারকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন গজারিয়াবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *