আব্দুস সালাম ও হুমায়ুন কবির:
ঈদের ছুটির পূর্বে ব্যাক ডেটে নামজারি না করার তিনটি আদেশকে অমান্য করে বিদায়ী সদর এসিল্যান্ড নাজমুল হুদা ও কানুনগো নাজির আহমেদ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নামজারি করে দিয়েছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সফিউদ্দিন মিলনায়তনে তাদের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন দুইজন ভূক্তভোগী। রামপাল ইউনিয়নের কালিঞ্জিপাড়ার শাহ মোহাম্মদ আব্দুল বারী ও পঞ্চসার ইউনিয়নের মো: আব্দুল বাশার শাহ আলম। ভূক্তভোগী দুইজনই সাবেক সদর ভূমি কর্মকর্তা নামজুল হুদা ও কানুনগো নাজির আহম্মেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগীরা জানান, জেলা জজ কোর্ট, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও বাতিল দলিল দিয়ে নামজারি করে দিলেন এসিল্যান্ড নাজমুল হুদা কানুনগো নাজির আহম্মেদ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কালিঞ্জিপাড়ার শাহ মোহাম্মদ আব্দুল বারীর ৬৬.১০ শতাংশ ও পঞ্চসার ইউনিয়নের মো: আব্দুল বাশার (শাহ আলম) এর ৩ একর ৬১.২১ শতক জায়গার নামজারি করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আব্দুল বারী তার বক্তব্যে বলেন, সাবেক ভূমি কর্মকর্তা মো: কামরুল হাসান মারুফের স্বাক্ষরিত আদেশে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে নালিশী সম্পত্তি নিয়ে উচ্চতর আদালতে মামলা চলমান থাকায় উক্ত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নামজারী রিভিয় কেস নং ২৭৫/২০-২১ এর কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। দ্বিতীয় আদেশটি দিয়েছেন ভূমি কর্মকর্তা হ্যাপী দাস তিনিও তার আদেশে লিখেছেন সম্পত্তি নিয়ে মোকদ্দমা রয়েছে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাতিলকৃত ভূমি মূল জোতে বহাল থাকবে। কোন পক্ষই নামজারি করতে পারবে না। এমন আরো একটি আদেশ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সকল আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তিনি অবৈধ সুবিধা নিয়ে বিচারাধীন মামলা ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও দুটি সম্পত্তির নামজারি করে দিয়েছেন একজন অসাধু ভূমি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা। নামজারির বিরুদ্ধে যাতে আমি কোন মিস কেস করতে না পারি সেজন্য তিনি ব্যাক ডেটে নামজারি করে দিয়েছেন এবং মুন্সীগঞ্জ থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে চলে গেছেন।
মো: আব্দুল বাশার শাহালম জানান, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আমি রায় পেয়েছি। বাদী পক্ষের দলিল বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টকে তোয়াক্কা না করে তিনি বাদী পক্ষের নামে আমার সম্পত্তি নামজারি করে দিয়েছেন সাবেক সদর ভূমি কর্মকর্তা নামজুল হুদা ও কানুনগো নাজির আহম্মেদ।