স্টাফ রিপোর্টার:
পুলিশের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেওয়ায় সিরাজদিখান থানা পুলিশ একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে একটি পরিবারকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠিছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায়এমন একটি ঘটনায় একটি পরিবার নি:স্ব হতে চলছে। সিরাজদিখান থানা পুলিশের সহযোগিতায় একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মনির তালুকদার (২৮), কমলা বেগম (৫৫), স্বামী আকাশ তালুকদার (৩২) কে আসামী করা হয়। সেই মামলটিও মিথ্যা মামলা। কোর্ট এই মামলা থেকে মনির তালুকদারকে অব্যহতি দেয়।
সিরাজদিখান থানা পুলিশ মনির তালুকদারকে থানায় আটকে রেখে ১০হাজার টাকার বিনিময় ছেড়ে দেয়। সেই বিষয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। সেই অভিযোগের সতত্যা মিললে তদন্তকারী উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয় সিরাজদিখান থানা থেকে বদলী করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কারণেই এখন সিরাজদিখান থানার ওসিসহ সকলেই পরিবারটিকে হয়রানী করার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করছে বলে অভিযোগ করেছে মনির তালুকদার, কমলা বেগম।
দ্বিতীয় মামলা করা হয়েছে ১৬ জানুয়ারি ২০২৩। এই মামলাটিও সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা মামলা। বাদী উম্মে হাবিবা মীরা তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন এ বছর পূর্বে স্বামীর বাড়ি থেকে পিতার বাড়িতে চলে যায়। ১৩ জানুয়ারি উম্মে হাবিবা মীরা, মীরার পিতা সবজল বেপারী ও মামুনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয় যার নম্বর ৬০১। ১৬ জানুয়ারির ০৮ নং মিথ্যা এই মামলায় ইতিমধ্যে রহিম তালুকদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
মনির তালুকদার সাধারণ ডায়েরীতে উল্লেখ করেছেন ৪বছর পূর্বে আকাশ তালুকদারের সাথে মীরার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে স্বামী আকাশের সাথে খারাপ আচরনসহ পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি করে। আদালতে গিয়ে সিআর মামলা করে। এ অবস্থায় প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী মিরা, তার বাবা, ও মামুন নামের এক ব্যক্তি নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে এমনকি খুন করে লাশ গুম করারও হুমকি দেয়। প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী মীরা আত্মহত্যা করে মিথ্যা মামলায় ফাসাইয়া দেওয়ারও হুমকি দেয়। সাধারণ ডায়েরীর বিষয়টির সত্যতা পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রসিকিউশন দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। এমতাবস্থায় কিভাবে দ্বিতীয়বার মিথ্যা মামলাটি থানায় হয় তা বোধগম্য নয়।
১৩ জানুয়ারি সাড়ে ১২টার সময় বৃদ্ধা আকাশের মা মীরার শ্বাশুরীকে বউ, বউয়ের বড় বোন ও বউয়ের মা মিলে কিলঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে অভিযোগকারী কমলা খাতুনকে স্বামীর ঘর থেকে বাহির করে দেয়। ১৪ জানুয়ারি সকাল ৮টার সময় স্বামীর ঘরে প্রবেশ করতে গেলে সানোয়ারা বেগমের হুকুমে উম্মে হাবিবা মীরা ও তার বোন লিমা আক্তার মিলে চুলে ধরে মাটিতে ফেলে মারধর করে কিল ঘুষি মেরে নিলাফুলা জখম করে। পরবর্তীতে স্বামীর ঘরে প্রবেশ করতে না পেরে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেøক্সে চিকিৎসা নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় চলে যায়। ১৫ তারিখ আদালতে সিআর মামলা ১৯/২৩ ধারা ১১৪/৩২৩/৫০৬ (রর)/৩৪ দন্ডবিধিতে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলী আদালত আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি উম্মে হাবিবা মীরা ও লিমা আক্তারকে কোর্টে হাজির হওয়ার জন্য সমন ইস্যু করেছেন।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি জানান, জিডি ও মামলার বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখানে কাউকে হয়রানী বা মিথ্যা মামলা করা হয়নি। বাদী অভিযোগ দিয়েছে সেই আলোকে মামলা হয়েছে।