মোঃ শামসুল হুদা
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ষাটোর্ধ্ব এক মহিলার আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে নিহতের ছোট ছেলের স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বেজগাঁও ইউনিয়নের মধ্য হাট ভোগদিয়া গ্রামে। জানা যায় মোঃ সামাদ শেখের স্ত্রী ও ৪ সন্তানের জননী রেজিয়া বেগম (৬৫) গত সোমবার দিবাগত রাতে স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। ভোর সাড়ে পাঁচটায় দিকে আল্লাদী নামে এক প্রতিবেশী পুকুরের পানি নিতে এসে দেখতে পায় ছোট একটি আম গাছে লাশ ঝুলছে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে আসে।পরে নিহতের ছোট ছেলের স্ত্রী চম্পা বেগম উরনা পেঁচানো অবস্থায় লাশ নামিয়ে মাথায় পানি দেয়। পরে লৌহজং থানার পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও বড় ছেলে পলাতক রয়েছে।
নিহতের বড় মেয়ে কল্পনা আক্তার (৩০) বলেন আমাদের বসত বাড়িটা আমার মায়ের নামে থাকায় বাবাও ভাইদের ধারনা মা এই বাড়িটা মেয়েদের নামে লিখে দিবে।এ বেপারে প্রায় মায়ের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। তিনি আরো বলেন যদি আমার মাকে তাঁরা হত্যা নাই করতো তাহলে আমার বাবা সামাদ শেখ ও বড় ভাই জিয়াউর রহমান লাশের পাশে না থেকে পালানো কেনো? আমি আমার মায়ের হত্যাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সরেজমিনে দেখা যায় ছোট আম গাছটির উচ্চতা সর্বোচ্চ ৭ ফিট হবে। এ অবস্থায় গলায় ফাঁসি দেয়াকে এলাকাবাসীর কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। হত্যা নাকি আত্মহত্যা !
এ বেপারে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসাইন বলেন ময়নাতদন্তের পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।