মুন্সীগঞ্জ টু নারায়নগঞ্জ লেগুনা চাদাঁবাজদের কারনে বন্ধ॥ যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে

Www.munshiganjcrime.com
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

আব্দুস সালাম:
মুন্সীগঞ্জ টু নারায়নগঞ্জ চলাচলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মুক্তারপুর লেগুনা স্ট্যান্ডে চাদাঁবাজদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। শনিবার (২৯এপ্রিল) হতে মুন্সীগঞ্জের শ্রমজীবী মানুষের লেগুনাতে চলাচলের পথটি বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র চাদাঁবাজ সিন্ডিকেটের কারণেই লেগুনা দিয়ে এখন আর নারায়নগঞ্জ যাতায়াত করতে পারছে না। এই রুটে ৫২/৫৩ টি লেগুনা চলাচল করে নিয়মিত। মুক্তারপুর হতে নারায়নগঞ্জ ভাড়া মাত্র ৩৫/৪০ টাকা। মুক্তারপুর সেতু হওয়াতে মানুষ আর লঞ্চে যেতে হয়না। মুন্সীগঞ্জ হতে নারায়নগঞ্জ প্রতিনিয়তই লঞ্চ দুঘটনায় পড়তে হতো এক সময়। জীবনের নিরাপত্তা ছাড়াই এক প্রকার বাধ্য হয়ে লঞ্চে যাতায়াত করতে কর্মজীবি মানুষ ।

প্রতিদিন মুন্সীগঞ্জ হতে দশ হাজারেরও বেশী লোকজন নারায়নগঞ্জ এবং ঢাকায় কর্মক্ষেত্রে গিয়ে থাকেন। প্রতিদিন গাড়ী প্রতি ৩০০ টাকা নারায়নগঞ্জ শ্রমিকদের মাধ্যমেই জমা নেয় বর্তমান ভুড়িগঙ্গা ট্রান্সপোট মালিক সমিতি। আর এই টাকার বন্টন নিয়েই চলছে দেন-দরবার। এ নিয়ে দ্বন্ধে বর্তমানে দুই দিন যাবৎ লেগুনা চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয় লেগুনা মালিক সমিতির (ভুড়িগঙ্গা ট্রান্সপোট ) সভাপতি মোঃ দিদার বলেন, মুন্সীগঞ্জ নয়াগাও এলাকার ফাইজুরের নেত্বীত্বে মুক্তারপুর টু নারায়নগঞ্জ চাষাড়ার লেগুনা চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফাইজুরের প্রথম দাবী ছিলো একটি লেগুনা এই রুটে যোগ করা। আমরা তাদের দাবী মেনে নেই। আবার নতুর ফন্দি করে মোটা টাকা দাবী করে আসছে সে। আমরা শ্রমজীবী, আর কতো দাবী মানবো? প্রয়োজনে মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের এমপি সাহেবকে অবগত করারও কথা বলেন তিনি। থানায় অভিযোগ করছেন কি না জানতে চাইলে দিদার বলেন, আজকের মধ্যে সমাধান না আসলে চাদাঁবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো।

এই বিষয় মুন্সীগঞ্জ নয়াগাও এলাকার ফাইজুরের সাথে কথা বলে জানা যায় এই লেগুনা থেকে গাড়ীপ্রতি ৩০০ টাকা প্রতিদিন চাদাঁ উঠায়। আমাদের মুন্সীগঞ্জ এলাকার ৫/৭ টি লেগুনা, বাকী সব গাড়ী নারায়নগঞ্জ এলাকার। আমরা মুনাসীগঞ্জ এলাকায় গাড়ী প্রতি ১৫০ টাকা হারে দাবী করেছি। ঐ পক্ষ আমাদের দবী মানে নাই। তারাই মিথ্যা কথা ছড়িয়ে এলাকার সম্মান নষ্ট করতে চাইছেন এবং প্রতি লেগুনায় চাদাঁ আদায় করছেন। এই অবস্থায় আমরা কয়েকজন গতকাল শনিবার লেগুনা স্ট্যান্ডে গেলে গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমরাও চাই লেগুনা চলাচল করুক। আমাদের সাথে আলোচনা করে তার পরে চলবে। আমরাও একটি দলের সাথে আছি। এক প্রশ্নের উত্তরে ফাইজার বলেন সাময়িক সমস্যা হলেও সব ঠিক চলছে। জনসাধারণ এখন অটোগাড়ী, মিশুক , বা সিএনজিতে চলাচল করছেন।

এই বিষয় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় যোগাযোগ করলে থানা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাননি।

সদর ট্রাফিক অফিসেও যোগাযোগ করলে ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর বজলুর রহমান বলেন জাহিদ মেম্বারের লোকজন গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। মালিক সমিতির টাকা মুন্সীগঞ্জ এলাকার লোকজন আদায় করতে চাওয়া অনৈতিক। যেহেতু গাড়ীগুলো মালিক সমিতির আন্ডারে চলছে। মানুষকে ভোগান্তির মাঝে ফেলে টাকা আদায় চেষ্টা মাত্র।

Share

Www.munshiganjcrime.com
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •