মুন্সীগঞ্জে সরিষার মিলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে নিয়ে দুই বন্ধুর ধর্ষনের  কথা আদালতে স্বীকার

Spread the love

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার খলাগাঁও গ্রামে সরিষা ভাঙ্গানোর মিলে নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পালাক্রমে ধর্ষন ও মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণের কথা আদালতে স্বীকার করে দোষ স্বীকারমূলক জানবন্দী দিয়েছেন দুই বন্ধু আসামী জিহাদ (১৯) ও সিয়াম খালাসি (১৮)।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান তাদের দোষ স্বীকারমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চত করেন, মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন।
আসামীরা হলেন, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার খলাগাঁও গ্রামের মনির ব্যাপারীর ছেলে জিহাদ (১৯) ও উত্তর হাসাইল গ্রামের শাহজাহান খালাসীর ছেলে সিয়াম খালাসি ( ১৮)।

জানাগেছে, গত ঈদুল ফিতরের ৪ দিন পরে সন্ধ্যার দিকে জিহাদ আর সিয়াম মিলে ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীকে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার খলাগাঁও এলাকার রাস্তার পাশের সরিষা ভাঙানোর মিলে নিয়ে প্রথমে সিয়াম ধর্ষণ করে। পরে সিয়ামের বন্ধু জিহাদ ধর্ষণ করলে সিয়াম মুঠো ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে সিয়াম তার মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ডিভাইসের মাধ্যমে অন্য একটি মোবাইলে হস্তান্তর করলে তা ধর্ষিতার মায়ের নজরে আসে।

এই ঘটনায় ভিকটিমের মা গত রোববার বাদী হয়ে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে হাসাইল এলাকা হতে জিহাদ ও সিয়াম খালাসিকে আটক করে পুলিশ।

টঙ্গীবাড়ী থানা এসআই আল মামুন জানায়,  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ ও সিয়াম খালাসি জানান, ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাঁচগাও ওয়াহিদ আলী দেওয়ান আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর সাথে বিগত প্রায় দুই মাস যাবত ভয় ভিতি দেখিয়ে জোড় পুর্বক অনৈতিক শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই আসামিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মুঠোফোন জব্দ করে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। তাদের মঙ্গলবার মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

এ ব্যপারে মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেনীর মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষন করে ভিডিও ধারন করার কথা জিহাদ ও সিয়াম খালাসি আদালতে স্বীকার করে দোষ স্বীকারমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  পরে তাদের জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *