মুন্সীগঞ্জে রক্ত দিয়ে শিশুর জীবন বাঁচালেন সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টারঃ

শরীরে হঠাৎই কমে যায় শিশু মাহমুদা আক্তারের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন রক্তের। কিন্তু রক্তের গ্রুপ যে ‘এবি পজেটিভ’। কোথা থেকে পাওয়া যাবে এই গ্রুপের রক্ত? তাও নয় বছরের মেয়েকে বাঁচাতে হন্য হয়ে রক্ত খুঁজতে শুরু করে পিতা-মাতা। জানতে পেরে ঠিক তখনই এগিয়ে আসেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম। জানান, তাঁরও রক্তের গ্রুপ ‘এবি পজেটিভ’।

সদরের রামপাল ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজী কসবা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ মাসুদ রানার মেয়ে মাহমুদা। গত রবিবার মেয়ে মাহমুদার জন্ডিসের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান বাবা মাসুদ রানা। ডাক্তারের দেওয়া পরীক্ষায় মাহমুদার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ছিল ৪.৭ গ্রাম প্রতি ডেসিলিটার। চিকিৎসক জানান, মাহমুদাকে অবিলম্বে রক্ত দিতে হবে। আর এখানেই তৈরি হয় সমস্যা। আসলে মাহমুদার রক্তের গ্রুপ ‘এবি পজেটিভ’। এই গ্রুপের রক্ত খুব কম সংখ্যক মানুষেরই থাকে। তাই এই গ্রুপের রক্ত সহজে পাওয়া যায় না। কিন্তু মেয়েকে বাঁচাতে ‘এবি পজেটিভ’ গ্রুপের রক্ত খুঁজতে শুরু করে দেয় পরিবারের সদস্যরা।

পরিচিত শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছে পুরো বিষয়টি শোনেন সদর থানার ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘জনি নামের একজন আমাকে বলেন, রক্তদানের জন্য কোন পুলিশ সদস্যদের এবি পজেটিভ রক্ত আছে কিনা’। আমি তখন বলি কোথাও খোজার প্রয়োজন নাই শিশুটিকে নিয়ে আসো আমি রক্ত দিতে প্রস্তুত। ওসির মঞ্জুরি পাওয়ার পরই শহরের মডার্ণ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে রক্ত নেওয়ার ব্যবস্থা শুরু হয়ে যায়। যথাসময়ে রক্ত দেওয়ায় এমন নজির গড়লেন ওসি। রক্ত পাওয়ার পর এখন কিছুটা সুস্থ্য মাহমুদা। ওসি আমিনুল ইসলামের এই উদ্যোগে খুশি মাহমুদার বাবা মাসুদ রানাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *