মুন্সীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা: প্রোরচনার অভিযোগ দুই পরিবারের বিরুদ্ধে

Www.munshiganjcrime.com
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শিমু আক্তার (২৫)। মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায় শনিবার (১৭ জুন) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে শিমু আক্তারের বসবাসরত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যাকারী শিমু আক্তার (২৫) এর গর্ভে ৫ মাসের সন্তান নিয়েই আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে।

তাসলিমা বেগম (৫০) জানান, তার ছেলে কামরুল প্রবাসে থাকাকালিন সময় সকল টাকাই স্ত্রীর কাছে পাঠাতো। আমাকে ৬ হাজার টাকা দিতো খরচ বাবদ। বাকী সমুদয় টাকা তার শ্বাশুড়ী ও স্ত্রীর কাছে দিয়েছে। ৬ মাস ধরে কামরুল বাড়িতে এসেছে। কামরুলের দেয়া টাকা ছেলের বউ শিমু আক্তার তার মায়ের কাছে স্বামীর দেয়া টাকা চাইলে মেয়েকে মরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে কয়েকবার। লাশ সিলিং ফ্যান থেকে নামানোর পরে মেয়ের হাতের ও গলার স্বর্ণের জিনিস নিয়ে গেছে নিহত শিমুর মায়ে। ছেলের বউয়ের কাছে যত গয়নাঘাটি ছিল সকল গয়নাই মেয়ের মায়ের কাছে।

বৃদ্ধ মা তাসলিমা বেগম বার বার স্ত্রীর কথা বলতে গিয়ে মুচড়ে পড়েন। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। তিনি থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে এই খবর পেয়েই সকলে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন। নিহতের শ্বাশুড়ী বৃদ্ধ তাসলিমা বেগম (৫০) বলেন, মেয়ের মায়ের প্রোরচনায়ই আমার ছেলের বউ আত্মহত্যা করেছে। আমরা নির্দোষ। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে শিমু আক্তারের বাবা-মার অভিযোগ, শশুর বাড়ির লোকজনের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে শিমু এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

নিহত শিমু আধারা ইউনিয়নের পশ্চিম রাড়ি পাড়া এলাকার নূর ইসলাম ব্যাপারী- দুলালী বেগম দম্পতির মেয়ে। ৮ বছর আগে মোল্লাকান্দির মুন্সীকান্দি এলাকার শাহ আলী বেপারির পুত্র সৌদি আরব প্রবাসী কামরুল হাসান বেপারির সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ৭ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। অপরদিকে ৫মাসের অন্তরসত্মা ছিল।

শীমুর পরিবারের অভিযোগ, স্বামী প্রবাসে থাকায় শাশুড়ী ও ননদ মিলে সব সময় অতিরিক্ত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করতো শিমুকে। এসব সইতে না পেরে বিভিন্ন সময় শিমু বাবার বাড়িতেও চলে আসতো।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানা সূত্রে জানা যায়, নিহতের লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মেয়ের বাবা নুরুল ইসলাম জানান, আমার মেয়ের নামে কোন কিস্তি নাই। মেয়ের জামাইয়ের কাছ থেকেও কোন টাকা আমি নেইনি।

Share

Www.munshiganjcrime.com
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •