মুন্সীগঞ্জে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামমনেই কুপিয়ে বাবাকে হত্যা॥ ছেলে গুরুতর আহত

Spread the love

টঙ্গীবাড়ি (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে সাবেক যুবলীগনেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নাম সোহরাব খান (৫৫)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তার ছেলে জনি খান (৪২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার (৮ এপ্রিল“২৪ ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দীঘিরপাড় বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত সোহরাব দিঘীরপাড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় খান বাড়ির বাসিন্দা। আসলাম হালদার ভোলা, রিজবী ও রিহান পুলিশের আইসির সামনেই কুপিয়ে হত্যা করেছে সোহরাব খানকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সোহরাব খানের সঙ্গে ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ভোলা হালদারের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আজ সোমবার দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের আইসির নির্দেশে আসে দুইপক্ষের লোক। এ সময় বিরোধে জড়িয়ে পড়লে ভুলু খান ও তার দুই ছেলে রিজভী ও রিহানসহ সাত-আটজন সোহরাব ও জনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের উদ্ধার করে টঙ্গীবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সোহরাব খানকে মৃত ঘোষণা করেন। জনির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহতের আত্মীয় সূত্র থেকে জানা যায়, প্রবাশে গোল্ডের ব্যবসা করে ভোলা ও তার ছেলেরা। সোহরাবের পরিবারের প্রবাসে গেলে তাদের গোল্ড দিতে চাইলে তারা অপারগতা প্রকাশ করে। এ থেকেই বিরোধ চলে আসছিল দুই পরিবারের মাঝে। আজকে পুলিশের সামনেই কুপিয়ে বাবকে হত্যা করে ফেলে আর ছেলে এখন ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যু সজ্জায় চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘নিহত সোহরাব খানের মাথায় ও বুকে গুরুতর ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া আহত জনি খানের মাথায়, বুকে ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) আসলাম খান বলেন, ‘ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *