মুন্সীগঞ্জে ছাত্র না হয়েও ছাত্রদলের বড় বড় পদ দিয়ে নতুন কমিটি করায় ক্ষোভ

Www.munshiganjcrime.com
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

মুন্সিগঞ্জে অছাত্র এবং ব্যবসায়িদের দিয়ে জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংগঠনটি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের অভিযোগ, শুধু মাত্র টাকার বিনিময়ে অছাত্রদের দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর স্থানীয় ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে খোভ শুরু হয়েছে কয়েকজন জানান,এ কমিটিতে প্রকৃত ছাত্র এবং মাঠ পর্যায়ে আন্দোলন-সংগ্রামে থাকা ছাত্রদের মূল্যায়ন করা হয়নি।কমিটিতে থাকা সবার বয়স ৩৫-৩৮ বছর।উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র একজন নেতা এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে একটি মনগড়া কমিটি ঘোষণা করেছে। এ কমিটির কেউ ছাত্র নন। কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকায় ব্যবসা করেন। যুগ্ম-সম্পাদক চাকরি করেন।অন্য দুজনকেও জেলার কোন কর্মসূচিতে পাওয়া যায়নি। ছাত্র দলের সাবেক এক নেতা বলেন,সভাপতি মো.আবুল হাসেম ও সাধারন সম্পাদক জাহিদুর রহমান জামাল ঢাকায় ব্যবসা করেন।আবুল হাসেম ৪ বছর আগে বয়স বেশি হওয়ার কারনে একবার সদর উপজেলা কমিটি থেকে বাদ পড়েছিল।এছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.তাজুল ইসলামক ১২ বছর ধরে ঢাকায় চাকরি করেন। কমিটিতে থাকা কেউ মুন্সিগঞ্জের রাজনীতিতে সংক্রিয় নন। প্রত্যেকের বয়স ৩৮ বছরের উপরে। শুধু মাত্র ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে এমন অছাত্রদের দিয়ে কমিটি করা হলো। ছাত্রদলের সদ্যবিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হুমায়ুন আহ প্রথম আলোকে জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দল ক্ষমতার বাহিরে। এরপরেও মুন্সিগঞ্জের যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামে দাপটের সঙ্গে সম্মুখভাগে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রদল।আমরা চেয়ে ছিলাম কমিটিতে নতুন মুখ আসবে।যারা সক্রিয় এবং যাদের ছাত্রত্ব আছে এমন নেতৃত্ব দিয়ে এবার জেলা কমিটি হবে।তবে টাকার বিনিময়ে অছাত্র, মব্যবসায়ি,চাকুরিজিবী এবং আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় নয় এমন ব্যাক্তিদের দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।এমন কমিটি দলের জন্য মঙ্গল হবেনা। অভিযোগের বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক নেতা জানান,একপদের জন্য একাধিক প্রার্থী থাকে। সবাইকেতো আর পদে রাখ সম্ভব নয়। যাদেরকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য পদগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা যোগ্য। যারা বাদ পড়েছেন তারাও যোগ্য।কমিটি থেকে বাদ পড়লেই টাকার বিনিময় কমিটি করা হয়েছে এমন অভিযোগ উঠে।এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

Share

Www.munshiganjcrime.com
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •