মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের কেওয়ার মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ নির্মিত হয় ১৯৩৫ সালে। সেসময় মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সৈয়দ হানিফ চিশতী পাঞ্জাবি (রহ:)। প্রায় ৯০ বছরের পুরনো এ মসজিদ ভবন ও মিনারের এখন জরাজীর্ণ দশা। বৃষ্টি এলেই মিনার ও মসজিদ ভবনের ছাদ চুইয়ে পড়ে পানি। পলেস্তার খসে পড়ছে ভবনের ভেতরে। এতে আতংকের মধ্যে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে হয়। আবার দিনদিন জনসংখ্যা বেড়ে মসজিদের মুসল্লির সংখ্যাও বেড়েছে। সব কিছু মিলিয়ে জরাজীর্ণ কেওয়ার মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ ভবন ও মিনার পুন:নির্মান প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় মুসল্লিদের বড় একটি অংশ এমন প্রয়োজনীতার পক্ষে রয়েছেন। ইতোমধ্যে পুন:নির্মানের অংশ হিসেবে মসজিদের মিনার ভাঙ্গার কাজে হাত নেওয়া হয়েছে। আর তাতেই বিরোধীতা শুরু করেছে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ হানিফ চিশতী পাঞ্জাবির (রহ:) ভক্তবৃন্দ।
তাদের দাবী হচ্ছে এটি একটি প্রচীন মিনার। তাই ভাঙ্গা যাবে না। সম্প্রতি সৈয়দ হানিফ চিশতী পাঞ্জাবির (রহ:) ভক্তবৃন্দ মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই দাবী তোলেন।
এদিকে সরেজমিনে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় গিয়ে দেখা যায় কেওয়ার মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভেতরে গম্বুজের ছাঁদের পলেস্তার খসে পড়েছে। মিনারা ছেয়ে পানি পড়ছে। মসজিদের ভেতর মুসল্লিদের জায়গা সংকুলান হচ্ছে না।
মুসল্লিরা জানান, মসজিদ ৯০ বছরের পুরাতন। এখন জুম্মার নামাজের ২০০ থেকে ৩০০ মুসুল্লি নামাজ আদায় করে থাকেন। জায়গা সংকুলন হওয়াতে বাইরেও নামাজ আদায় করতে হয়। তারা আরও জানান, বহিরাগতরা পাঞ্জাবি (রহ:) একদল অনুসারী নতুন মসজিদ ভবন নির্মাণে বাঁধা প্রদান করছে।
কেওয়ার মিয়াবাড়ি জামে মসজিদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, আমরা ২০২৩ সাল থেকে দুই বছর ধরে বিভিন্ন সভা, সাধারণ সভা, নির্বাহী কমিটির সভা ও মতবিনিময় করি। বিগত সময়ে ভূমিকম্পে মসজিদ ও মিনারে ফাঁটল দেখা দেয়। মসজিদের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে পানি পড়ে। ফলে নামাজ পড়তে মুসল্লিদের সমস্যা হয়। যারা মসজিদ পুন:নির্মানে বাধা দিচ্ছে তারা কেউ এ সমাজের না। এ পাড়ার না, এমন কি এ ওয়ার্ডের না। তারা বহিরাগত।
তিনি আরও জানান, মসজিদসহ মিনারটি ঝুঁকিপূর্ণ। পাশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনায় জান মালের অপূরনীয় ক্ষতি হতে পারে। তাই মসজিদের মুসল্লিদের দাবির প্রেক্ষিতে এবং মোতওয়াল্লীর লিখিত অনুমতিতে মসজিদটি বর্তমান নকশায় নির্মান করতে যাচ্ছি। এরজন্য মহাকালী ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ অনুমতিও নিয়েছি।