সুমন ইসলাম::
মাছ,মাছ-বিদেশী মাছ। দু’শত টাকা কেজি…।এভাবেই হেটে হেটে মুন্সীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন অলি গলিতে বিক্রির জন্য মাছ বিক্রেতা মো: রতন হাকডাক করছিলেন চাষ ও পরিবেশের জন্য হুমকি মাউথ ক্যাটফিস (সাকার মাছ) ডালা হাতে। আজ রোববার (১৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার অলি গলিতে দেখা গেছে এমন চিত্র।
জানা গেছে, ধলেশ্বরী নদী থেকে জেলেদের জালে ঝাকে ঝাকে ধরা পড়ছে এই রাক্ষসি সাকার মাছ।আর তা ধরে এলাকায় এলাকায় সাগরের মাছ বলে বিক্রি করা হচ্ছে। এই মাছের নামের সাথে অনেকের পরিচিতি না থাকায় তারা ২০০ টাকা কেজিতে কিনে নিচ্ছেন। মাছ ব্যবসায়ী মো: রতন জানান,তাকে একজন জেলে সাকার ফিস গুলো বিক্রি করতে দিয়েছেন। তিনি নিজেও জানে না এ মাছটির নাম কী? এবং তার গুণাবলি অথবা স্বাদ ও ক্ষতির কথা।
হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার সাকিব আহম্মেদ বাপ্পি বলেন, সকালের দিকে বাড়ি থেকে বেরুলে দেখতে পায় নিষিদ্ধ সাকার ফিস ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। তখন কাছে গিয়ে মাছ বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান এ মাছ সমুদ্রের মাছ,দু’শত টাকা কেজি। ইতিমধ্যে ৩-৪ জন কিনে নেন। আমি যখন বাধা দেই তখন মাছ বিক্রেতা সরে পরেন। মাছ বিক্রেতারা নিষিদ্ধ সাকার ফিসকে বিদেশী মাছ বলে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে।এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে সাকার ফিস বিক্রি বাড়তে থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এটি এম তৌফিক মাহমুদ বলেন,মাউথ ক্যাটফিস বা সাকার ফিস চাষ ও খাবার অযোগ্য। কারণ এই সাকার ফিস পরিবেশের জন্য হুমকি।সরকার এ মাছটি নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে।সাকার ফিস নদী ও খালের অন্য প্রজাতির মাছের জন্য হুমকি।এই কর্মকর্তা আরো বলেন,যারা নদী থেকে সাকার ফিসটি ধরছে তারা ভালো কাজ করছেন,নদী থেকে তা কমে যাচ্ছে।কিন্তু সাকার ফিসটি বাজারজাত করা আইনগত নিষিদ্ধ।এটি যেনো কোনো ভাবে এলাকায় এলাকায় বিক্রি করা না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।