শামসুল হুদা হিটু, মুন্সীগঞ্জ
ভূয়া ডাক্তারের অপচিকিৎসায় সিরাজদিখানে সাইফুল নামের একজন রোগী এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। মুন্সিগঞ্জ সিরাজি খান পশ্চিম বেজেরহাটি গ্রামের আব্দুল হাকিম ব্যাপারীর পুত্র সাইফুল ইসলাম শিবিরের পায়ে আঘাত জনিত কারনে চিকিৎসা করতে যান ডাক্তারের কাছে। চিকিৎসা করতে অবশ করা জন্য মেয়াদ উত্তীর্ণ লোকাল ইনজেকশন (এনেসথেসিয়া) পুশ করেন চিকিৎসা করেন ভূয়া ডাক্তার। এর পরে রোগীর কম্ম সারা। তার বাল্বই অকেজো হয়ে গেছে বলে ডাক্তার প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। এনজিওগ্রাম করে চিকিৎসা করতে তার এখন প্রায় ৩.৫লাখ টাকা প্রয়োজন।
ভূক্তভোগী জানান, পশ্চিম বেজেরহাটি বাজারের গ্রাম্য ভূয়া ডাক্তার রেজাউল করিমের চেম্বারে গেলে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশনে ব্যাবহার করেন চিকিৎসা দেন। চিকিৎসা নেয়ার পর থেকে রোগীর ক্ষত জায়গায় আরো বেশী ইনফেকশন হয়। পরবর্তীতে গত ৯ই জানুয়ারি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার ফাতেমা বেগমকে দেখান। ডা: রোগীর অবস্থা দেখে অনুমান করে বলেন মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ করার কারণেই এ ধরনের ইনফেকশন হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে রোগী ও ডাক্তার এর সাথে অনেক কিছু বুঝার পরে জানা গেলো পায়ে আঘাত জনিত কারনে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন দিয়ে অবস করে চিকিৎসার ফলে রোগীর ইনফেকশন হয়েছে।
এবিষয়ে ভিকটিম সাইফুল ইসলাম শিবির প্রত্যক্ষদর্শী জয়নাল আবেদীনকে চিকিৎসার পরে অবগত করলে, পল্লী চিকিৎসক ডা: রেজাউল করিম আস্বস্থ্য করে বলেন ডেডওভার ইনজেকশনে কোন সমস্যা হবে না। অথচ এই রোগী এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ছে।
এবিষয়ে জসিম শেখ নিজেও একজন প্রত্যক্ষদর্শী। জমিমকেও ধমক দিয়ে গ্রাম্য ডাক্তার রেজাউল করিম বলেছেন মাত্র ৬ মাস ডেড ওভারে ইনজেকশন কোন সমস্যা হয় না।
এ বিষয়ে গ্রাম্য ডাক্তার রেজাউল করিম তার এই ইনজেকশনের মেয়াদ না থাকলেও কোন ক্ষতি হবে না বলে সকলকেই জানিয়েছেন। গ্রাম্য ডাক্তার নিজেই স্বীকার করেছেন তার ড্রাগ লাইসেন্স নেই, তিনি ১৯৮০ সালে ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা বিষয়ে ট্রেনিং ছাড়া আর কোন কাগজপত্র নেই। তার ভুল সে স্বীকারোক্তি দিয়েই সাংবাদিকদের বলেছেন।
ভূয়া ডাক্তার রেজাউল করিমকে ফোন দিলে তিনি জানান, তিনি এমন ধরনের কোন চিকিৎসা প্রদান করেননি। অথচ তিনি ২টি ভিডিও সাক্ষাতকারের মধ্যে বলেছেন রোগী ব্যাথা পাচ্ছিল। তাই ব্যাথা লাগবের জন্য লোকাল মেয়াদউত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ করেছেন। না দেখে দেয়া ঠিক হয়নি বলেও তিনি লোকজনকে বলেছেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মঞ্জুরুল আলম জানিয়েছেন এই ধরনের কার্যকলাপে তাদের কোন করিনীয় নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব। চিকিৎসাপত্র দেখে লিখিত অভিযোগের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।