সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আদালতের রায় পাওয়া সম্পত্তিতে রোপণকৃত সরিষা কাটতে গেলে দেশীয় অস্ত্র ও হকস্টি দিয়ে পিটিয়ে ৬জনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১.২০ মিনিটের দিকে উপজেলার ইছপুরা ইউনিয়নের চন্দনধুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।এবিষয়ে ভুক্তভোগী উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধুল গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম
সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, শফিকুল ইসলাম পিতা মৃত আব্দুল জলিল শেখ বিজ্ঞ আদালতে রায় পাওয়া সম্পত্তিতে রোপণকৃত সরিষা কাটতে গেলে, বিবাদী মোঃ শাহ আলম মিয়া পিতা খালেক বেপারী ও কবির হোসেন পিতা মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে তাতে বাধা দেয় এক পর্যায়ে তাদের ভিতরে কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হয় পূর্ব থেকেই সিরাজদিখান থানাধীন ইছাপুরা ইউনিয়নের অন্তর্গত চন্দনধুল গ্রামের জয়নালের বাড়ীর উত্তর পাশে শফিকুল ইসলাম গং দের মালিকানাধীন জমি নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ চলছিলো তাই পূর্ব শত্রুতার জেরে, অভিযুক্ত ১নং বিবাদী শাহ আলমের হুকুমে, কবির হোসেন (৪৫), পিতা-মৃত শাহজাহান মিয়া, গ্রাম উত্তর কুসুমপুর, সৈয়দ নিশির (৪০), পিতা-মৃত সৈয়দ মাকখুম, গ্রাম দক্ষিণ কুসুমপুর,মোকলেসুর রহমান (৫০), ও বাবুল শেখ (৪৫), পিতা-মৃত শামছুল হক,কৌশিক আহম্মেদ (২৬), পিতা-মোকলেসুর রহমান, তানভীর (২৫), পিতা-মৃত ইদ্রিস শেখ, গ্রাম চন্দনধুল সহ অজ্ঞাতনামা, ৫/৬জন শফিকুল ইসলামের উপরে অতর্কিত হামলা করে, তাকে এলোপাথাড়ি ভাবে মেরে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিল ফুলা জখম সহ ধারালো চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে,পরে শফিকের ডাক চিৎকার শুনে তার ভাই নুরুল হক ও রেজাউল করিম তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাথাড়ি ভাবে হকস্টিক দিয়ে মারধর শুরু করে,এবং শফিকুল ইসলাম এর ভাবি রিতা আক্তারে কাপড় ধরে টানা হেচড়া করে তার শ্লীনতাহানী করে তাকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুসি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা যখন করে এবং গলায় থাকা এক ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়,তার ফুফু রাশেদা বেগম ও তার মা রেনু বেগম বাধা দিতে আসলে তাদেরকেও এলোপাথাড়ি ভাবে কিল ঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা যখন করে।পরে আশেপাশের লোকজনের জড়ো হলে,শফিকুল ইসলাম গংদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তারা ঘটনাস্থাল ত্যাগ করে। পরে এলাকার লোকজনের সহায়তায় শফিকুল ইসলাম ও তার ভাই নুরুল হক কে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নুরুল হক কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে এবং শফিকুল ইসলামকে নারায়ণগঞ্জের ল্যাবএইড হসপিটালে রেফার্ড করেন।
এই ঘটনায় শফিকুল ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন এবং পরে নারায়ণগঞ্জের ল্যাবএইড হসপিটালে ভর্তি হন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, এই বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।