হুমায়ুন কবির ও রুবেল
৫জনকে আসামী করে মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টঙ্গীবাড়ী আমলী আদালতে বুধবার বিকালে মামলা করা হয়েছে। আসামীরা হলো কুদ্দুস শিকদার (৪০), মোরসালীন শেখ (২০), নিলুফা আক্তার (৩৮), মুসলিমা (১৮), সুস্মিতা (২৮)। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭.৩০ ঘটিকার সময়।
এজহার থেকে জানা যায়, ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার সময় অনুমান সন্ধা ৭.৩০ ঘটিকার সময় বসত ঘরের দরজা খোলা দেখিয়া ঘরে প্রবেশ করে স্টিলের সোকেসের নীচের ড্রয়ে রাখা আলু বিক্রির নগদ ১,৯০,০০০/- টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। বাদীর স্ত্রী সালমা বেগম আসামীদ্বয়কে ঘরের ভিতরে হাতে নাতে ধরে চোর চোর বলে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন চলে আসলে আসামীগণ তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি, লাথি মারে এবং আমার পরিধেও জামা কাপড় ছিড়িয়া শ্রীলতাহানী করে।
আসামীদের রক্ষার জন্য পূর্ব থেকে ওৎ পাতিয়া থাকা আসামীরা ঘটনাস্থলে এসে সালমা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া বেদনা দায়ক জখম করে এবং আসামী নিলুফা আক্তার বাদীর স্ত্রীর গলা হইতে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য অনুমান ১,২৪,০০০/- টাকা টান মেরে ছিনিয়ে নেয়। এ বিষয় নিয়া কোন মামলা মোকদ্দমা কিংবা বিচার সালিশ চাহিলে বাদীর স্ত্রী সালমা বেগমকে খুন জখম করার হুমকি প্রদান করে। ঘটনার বিষয় স্থানীয় থানায় মামলা করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টঙ্গীবাড়ী আমলী আদালতে পিটিশন মামলা নং-৩৮০/২০২৪ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসামি মোরসালিন শেখ বলেন কোন মারামারি বা লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। জায়গা নিয়া সমস্যা চলতেছে দীর্ঘদিন যাবত এটা সত্য। ইতিপূর্বে আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিপক্ষ আরো একটি মামলা দায়ের করে কোন ফায়দা পায় নাই, এখন আবার আরো একটি নতুন মামলা করে আমাদেরকে হয়রানি করতেছে। কোন লুটপাট বা ভাঙচুর করা হয়নি। এলাকার লোকজন আমাদের পক্ষে সাক্ষী দিবে বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত মোরসালিন।