আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ
বর্তমান সরকারের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই জানিয়ে প্রধান অতিথি এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘বাজারে যেমন নিয়ন্ত্রণ নেই, একইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, উৎপাদনে নিয়ন্ত্রণ নেই। দুর্নীতির কারণে এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।’ গ্যাস, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পরই দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রত্যেকের আয় কমে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একদিকে করোনার কারণে গত দুই বছরে ব্যবসা-বাণিজ্য একেবারে নিচে নেমে গেছে। অসংখ্য ছোট ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়েছেন। বেশিরভাগ অংশ মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তে চলে আসছে। কিছু মানুষ আছে মধ্যবিত্তে চলে গেছে, এটা বাস্তবতা।’
দ্রব্যমূল্যের-ঊর্ধ্বগতির-প্রতিবাদে-বিএনপির-১১-দিনের-কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শনিবার সকাল ১০টায় মোক্তারপুর আব্দুল হাইয়ের বাড়ির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি মেইন সড়ক হয়ে পুরাতন ফেরীঘাটের চৌরাস্তায় গিয়ে প্রতিবাদ সভার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
প্রতিবাদ সভায় বিএনপি নেতারা বলেন, ‘সরকারের বাজারে যেমন নিয়ন্ত্রণ নেই, একইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, উৎপাদনে নিয়ন্ত্রণ নেই। দুর্নীতির কারণে এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।’
গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং সারা দেশে উপজেলা পর্যায়ে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে নায্যমূলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য বিক্রির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাজাহান খান, সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আ কা ম মোজ্জান্মেল হক, সদর উপজেলা আহবায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, শহর বিএনপি আহবায়ক একেএম ইরাদত হোসেন, সদস্য সচিব এডভোকেট মাহাবুল আলম স্বপন, সাবেক যুবদল সভাপতি মোঃ সুলতান আহমেদ, জেলা বিএনপির নেতা গুলজার, ভিপি মাসুম, আব্দুল কুদ্দুস ধীরন, রিপন মল্লিক, সিদ্দিকুল্লা ফরিদ,আতাউর রহমান বাবুল, মজিবুর রহমান, জেলা মহিলা নেত্রী বিউটি, মিনা, আলেয়া, যুবদল নেতা মাসুদ রানা, এডভোকেট সামসুল সরকার, নিজাম মেম্বার, শ্রমিক নেতা সামসুল হক, ছাত্র নেতা হুমায়ুন, তাজুল, সহ সকল থানা উপজেলা জাতীয়তাবাদী অংগসংগঠনে নেত্রীবৃন্দ।
উল্লেখ্য: বিক্ষোভ মিছিলটি মুক্তারপুর পুরাতন ফেরীঘাটের চৌরাস্তায় যাওয়ার পরে বক্তারা বক্তব্য দেন মাইক ছাড়া। একটি হ্যান্ড মাইকও রাখেননি নেতারা। ফলে কারো বক্তব্য কেউ শোনেননি বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। নেতাকর্মীদের মোবাইল ভিডিও ও ছবি তোলার কারণে স্থানীয় সাংবাদিকগণ ভালো একটি ছবিও তুলতে পারেনি টেলিভিশনের জন্য ভালো করে বক্তব্য রেডক করতেও পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।