ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের নেতা যখন বিএনপি সমর্থিত বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)’র মহুরী

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জ জেলা অন্যান্য জেলার তুলনায় আলাদা। সকল দুর্নীতি অনায়াসে করা যায় এখানে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মামলা বানিজ্য, জামিন বানিজ্য এবং কোর্টের সকল তথ্য পাঁচারকারী হিসেবে ফ্যাসিস্টের ভূমিকা পালন করছেন। তিনি ফ্যাসিষ্ট সরকারের মুন্সীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ শ্যামল। যিনি সদ্য সাবেক পিপি আব্দুল মতিনের মহুরী ছিলেন। বর্তমানে উক্ত মুহুরী শ্যামল মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের পি.পি এডভোকেট হালিম হোসেনের মহুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার আসামী সকল আওয়ামী লীগ নেতাদের জামিন প্রাপ্তিতে মামলা বানিজ্যের সাথে জড়িত এই মহুরী।

এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপির মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মুন্সীগঞ্জ নাগারিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাঝেও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

৪ মে ২০২০ সালের মুন্সীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সাবেক পিপি আব্দুল মতিনের মহুরী ফয়সাল আহম্মেদ শ্যামল এর লেখা ফেইসবুক পোষ্ট: হুবহু তুলেধরা হলো:
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পৌরপিতা হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব এক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার নাম। যার নামের সাথে কাজের অনেক মিল আছে। তিনি সত্যি এক বৈপ্লবিক পুরুষ। তিনি যেভাবে অত্যান্ত দায়িত্বশীলতার সহিত জাতির এই ক্লান্তিলগ্নে পরম মমতা ও ভালোবাসার মাধ্যমে তার প্রিয় জনগণকে যেভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তার একজন কমী হিসেবে তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বন্ধনে আবদ্ধ করতে চাই। নিজের ব্যক্তিগত লোকজনদের দিয়ে শুধুমাত্র তার দায়িত্বাধীন এলাকায়ই নয়। পুরো জেলার নেতাকমী ও সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এই আপদকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় উপহার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রাতের আধারে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবং যারা শহরের আশেপাশে থাকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে হাসিমুখে তার নিজ তহবিল থেকে উপহার তুলে দিচ্ছেন এবং একটি ম্যাসেস দিচ্ছেন বাড়িতে থাকুন নিরাপদে থাকুন। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে ভয় পাবেন না। মোবাইল কলের মাধ্যমেও পৌছে দিচ্ছেন সবসাধারণের কাছে এই দুযোগকালীন সহায়তা। তিনি মুন্সীগঞ্জ শহরের করনা রোগে আক্রান্ত প্রত্যেকটি অসচ্ছল পরিবারে খাবারের দায়িত্বও নিয়েছেন। তার পরও আমরা বলব। আমাদের মেয়র সাহেব ভালো না। উনি কারো কাছে ভালো হতে বা ভালো সাজতে মেয়র হননি। তিনি আমাদের সাধারণ পৌরবাসির কথা তথা জনাজীণ এ জন্মভূমির উন্নয়নের জন্য মেয়র হয়েছেন। আমরা আশা করি হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব ভাই আগামী দিনগুলোতেও এভাবে আমাদের পাশে থাকবেন এবং আমাদের এ জন্মভূমি তথা মুন্সীগঞ্জ সদরকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাবেন। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বন্দনে-ফয়সাল আহম্মেদ শ্যামল, উপ-দপ্তর সম্পাদক, মুন্সীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগ।

এ বিষয় মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের পি.পি এডভোকেট হালিম হোসেন জানান, শ্যামল মহুরী হিসেবে অভিজ্ঞ। তাই এই কাজ করার জন্য অভিজ্ঞ কোন মহুরী না থাকায় তাকে রাখা হয়েছে। তবে তার কোন স্ট্যাটাস সম্পর্কে আমার জানা নেই।