পারিবারিক বিরোধের জেরে মুন্সীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারপিট আহত ১

Www.munshiganjcrime.com
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
পারিবারিক বিরোধের জেরে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর কেওয়ারে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উক্ত ঘটনায় ১জন আহত হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

ঘটনারসূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর কেওয়ার খান বাড়িতে আনঞ্জুমান আরা নিলা ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন একসাথে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন। শ্বশুর মারা যাওয়ার পর আনঞ্জুমান আরা নিলার স্বামী বিদেশে অবস্থান করেন। তার স্বামীর উপার্জিত অর্থে যৌথ সম্পত্তি বন্টনের মাধ্যমে বিল্ডিং উত্তোলন করেন। এতে হিংসাত্বক হয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছে। বন্টনের মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্পত্তির উপর নির্মিত রান্নাঘর দখলের উদ্দেশ্যে দরজার সিকল ও তালা ভেঙ্গে জিনিসপত্র সরিয়ে দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করে। সেই সূত্রকেই কেন্দ্র করে গত শনিবার রাতে নিলাকে একা পেয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা ও জখম করে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় আঞ্জুমান আরা নিলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১। সাদেকুর রহমান সানি (৫৫), পিতা-বেগুখান, ২। মাহবুব হাসান রনি (২৩), পিতা-মৃত জাফর দেওয়ান, ৩। রাবেয়া আক্তার মীম (২২), স্বামী-লিটন খান, ৪। রাজিয়া বেগম (৬০), স্বামী-জাফর দেওয়ান, সর্ব সাং-উত্তর কেওয়ার (খান বাড়ী), থানা ও জেলা-মুন্সীগঞ্জগণ পূর্ব হইতেই জায়গা সম্পত্তি নিয়া বিরোধ চালিয়ে আসিতেছে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিবাদীগণ প্রায় সময় আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই শনিবার রাত অনুমান ০৮.০০ টার দিকে সকলে মিলে আমার বসত বাড়ীর পূর্ব পাশে থাকা রান্না ঘরের তালা ভেঙ্গে জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। উক্ত সময় আমি বিবাদীদেরকে আমার ভোগ দখলীয় রান্না ঘর জোর পূর্বক দখল করার পায়তারা করার কারণ জানতে চাইলে ১ ও ৩নং বিবাদীদ্বয় আমাকে এলোপাথারী মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। বিবাদীদের কবল থেকে বাচার জন্য আমি ডাক চিৎকার করিতে থাকিলে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে সকল বিবাদীগণ এই বলিয়া হুমকি প্রদান করে যে, উক্ত ঘটনা নিয়ে কোন থানা পুলিশ বা স্থানীয় লোকজনকে অবগত করিলে সময় সুযোগমত পাইলে প্রাণে মারিয়া লাশ গুম করিয়া দিবে। আহত অবস্থায় আমি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল হইতে চিকিৎসা গ্রহণ করি।

এ বিষয়ে উত্তর কেওয়ার খান বাড়িতে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। ঐ বাড়ির একাধিক লোকজনের সাথে আলাপ করলে প্রথমে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে তা আলাপের মাধ্যমে পরিস্কার হয়। এছাড়াও অনেকেই বলেন, যে বাড়ির লোকজন একসময় অন্যমানুষদের বিচার করতেন। তারাই আজ নিজেদের মধ্যে মিংমাংসা করতে পারছেন না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, এ বিষয়টি নিয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খায়রুলের বাড়িতে সামাজিকভাবে মিমাংসায় বসা হয়। সকলের সম্মত্তিতে সমাধান হলেও পরে তা মানতে অস্বীকৃতি জানায় বিবাদীগণ।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Share

Www.munshiganjcrime.com
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •