Www.munshiganjcrime.com
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গোসল করতে পানিতে নেমে একটি শিল্প কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন পাইপের পানির তোরে ভেসে যায় দুই মাদ্রাসা ছাত্র। তাদের মধ্যে একজন উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছে আরেকজন। নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস।
নিখোঁজ মাদ্রাসার ছাত্রের নাম শিহাব হাসান (১১)।সে হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসা ছাত্রের নাম আব্দুল্লাহ আল তামিম (১০)। সে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জহিরুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।তারা দুজনই ভবানীপুর ইসলামিয়া আরবিয়া কবরস্থান মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
ওই দুই ছাত্রের সহপাঠী কয়েকজন জানায়, নদীর এ জায়গাটি তাদের মাদ্রাসার খুব কাছাকাছি হয় তারা নিয়মিত সেখানে গোসল করেন। আজ জুম্মার দিন হওয়ায় ফুটবল খেলা শেষ করে সকাল ১১টার দিকে নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল শিহাব ও আব্দুল্লাহ আল তামিম।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিফাত হোসেন বলেন, শিশু দুইটি যখন গোসল করতে পানিতে নামে তিনিসহ আরো কয়েকজন তার অদূরে নদীর পাড়ে বসে ছিলেন। তারা যেখানে গোসল করতে নেমেছে সেখানে সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঢাকা সল্ট এন্ড কেমিক্যাল লিমিটেড কোম্পানির একটি বর্জ্য নিষ্কাশন পাইপ ছিল। কোম্পানিটিতে ব্যবহার করা পানি এ পাইপের মাধ্যমে মেঘনা নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। পাইপের মুখে পানি প্রবাহের বেগ অনেক বেশি। তারা গোসল করতে নামার কিছুক্ষণ এক শিশু দৌড়ে এসে তাকে জানায় নদীতে গোসল করতে নামা দুই শিশু পাইপের মুখের খুব কাছাকাছি চলে যাওয়ায় পানির তোরে ভেসে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত পানিতে নেমে এক শিশুকে উদ্ধার করলেও আরেকজনকে খুঁজে পাননি।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন টিম লিডার দুলাল ব্যানার্জি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ মাদ্রাসার ছাত্রের কোন হাদিস পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নদীর এই অংশ গোসল করেন তারা। পানি অত্যন্ত পরিষ্কার হওয়ায় তারা তা রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করতেন। তবে সম্প্রতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নদীতে বর্জ্য পদার্থ ফেলায় এখন আর এই পানি ব্যবহার করতে পারেন না তারা। গোসল করার জন্য পানিতে নামলে শরীর চুলকায়।
বিষয়টি সম্পর্কে তাদের মন্তব্য জানতে কোম্পানিটিতে গেলে জানানো হয় সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় অফিসে কেউ নেই। পরে মুঠোফোনে একাধিক কর্মকর্তার মোবাইলে কল দেওয়া হলে বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত নয় দাবি করে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
Www.munshiganjcrime.com