পদ্মা সেতু থেকে ঝাঁপ দেওয়া রিকসাচালক এখনো নিখোঁজ!

Www.munshiganjcrime.com
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সুমন ইসলাম::
পদ্মা সেতু থেকে এক অটোরিকসা চালক পানিতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ রয়েছে। রোববার(১৮ জুন) মধ্য রাত  পোনে ৩টার দিকে পদ্মা সেতুর ২১ নাম্বর পিলার সংলগ্ন  সেতুর উপর থেকে ঝাপ দেন অজ্ঞাত ওই অটোরিকসা চালক।এদিকে এ ঘটনার পরদিন সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চালালেও পদ্মায় তীব্র  স্্েরাতের কারণে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আজ (১৯জুন) সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষনা করেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ অটোরিকসা চালকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানান লৌহজংয়ের মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর  মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন।

জানা গেছে,  রোববার (১৮ জুন) মধ্যরাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে উল্টোপথে অটোরিকসা নিয়ে এক চালক পদ্মা সেতুতে উঠে পড়েন। বিষয়টি হঠাৎ পদ্মা সেতুর গার্ডম্যানের নজরে আসলে অটো রিকসা চালকের দিকে এগিয়ে যায় তারা।তাদের দেখতে পেয়ে ওই অটো রিকসা চালক দ্রæত অটো রিকসা চালাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ট্রাকের সাথে ধাক্কা গেলে পড়ে যায়।পরে গার্ডম্যান কাছাকাছি চলে আসলে ভয়ে পদ্মা সেতুর ২১ নম্বার পিলার বরাবর পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন অটোরিকসা চালক।

এঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানা,ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ ও ডুবুরি দল যৌথভাবে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, সেতু কর্তৃপক্ষ সেতুর উপর থেকে জব্দকৃত অটোরিকসা আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে। নিখোঁজ ব্যক্তির নাম ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি।

মাওয়া নৌ-পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহবুব হোসেন জানান, রাতে সোহের নামে পদ্মা সেতুর গার্ডম্যান আমাদের  মোবাইল কল করে এই তথ্য দেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। সকালে ঢাকা থেকে ডুবুরি দল আসে। উদ্ধার অভিযান চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।কিন্তু পদ্মা নদীতে তীব্র  স্্েরাতের কারণে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বিকেল ৫টার দিকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষনা করেন। তবে নিখোঁজ ব্যক্তির সর্ম্পকে কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।

Share

Www.munshiganjcrime.com
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •