স্টাফ রিপোর্টার
বিসিক শিল্প নগরীতে ঢুকে মেইল কারখানার শ্রমিকদের মোবাইল ফোন টাকা পয়সা যার কাছে যা পাওয়া যায় সব কিছুই কেড়ে নেয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধ করে যাচ্ছে একটি মাদক ও চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। প্রতিদিনই এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে অত্র এলাকায়। বিভিন্ন লোকজন তার মূল্যবান মোবাইল, টাকা পয়সা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটে নিচ্ছে এক শ্রেণির মাদক, চাঁদাবাজ ও মুক্তিপণ আদায়কারী সংঙ্গবদ্ধ চক্র। বিষয়টি সকলের চোখে পড়লেও প্রশাসনের চোখে পড়ছে না।
স্থানীয়ভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে পিটলুস গ্রুপ, আহসান উল্লাহ গ্রুপ, সীমান্ত গ্রুপ, সম্রাট গ্রুপ।এমন কি বিসিক ও মোক্তারপুর সিএনজি ষ্টেশন পরিচালনা করেন পিটলুস। ব্রীজের নীচ থেকে শুরু করে মালিপাথর ও সিএনজি ষ্টেশন নিয়ন্ত্রন করেন আহসান উল্লাহ, সীমান্ত পেট্রোলপাম্প, জোড়পুকুরপাড়, কবর স্থানের চীপা গলি ও দুর্গাবাড়ির আনাচে কানাচের সর্বত্র চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। সম্রাটের নির্ধারিত দুর্গাবাড়িতে একটি গ্যারেজ রয়েছে। সেই গ্যারেজে আটকিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে।
এমন অনেক ভূক্তভোগী রয়েছে যারা মুখ খুলেছে তাদের বিষয় ভয়ঙ্কর রূপ দেখায় এমন নজিরও আছে। ভূক্তভোগী কেউই মুখ খুলতে নারাজ। কিছুদিন পূর্বে ৪০হাজার টাকা আদায় করেছে একটি মাদক ও মুক্তিপণ সিন্ডিকেট গ্রুপ। ঐ লোক পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় অভিযোগের পরে এসআই বাশার বিষয়টির তদন্ত করে ঘটনাস্থলে যায় এবং ৪০ হাজার টাকা আদায় করার তথ্য পেলেও আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। উল্টো অভিযোগকারীকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছেন।
এইখানে, শ্রমিকরা নানান জেলা থেকে এসে মুক্তারপুর বিসিকে কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সেই সকল শ্রমিকদের মারধরসহ নানা ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে বহু দিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ গেলেও বিট পুলিশের কর্তব্যরত পুলিশ কোন ভূমিকাই পালন করেন না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। শ্রমিকরা অন্য জেলার বাসিন্দা। তাই সাহস করে কেউ জিডি বা লিখিত অভিযোগ, মামলা করতে চান না। ফলে ছিনতাইকারীগণ, মাদক ব্যবসায়ী এবং মুক্তিপণ আদায়কারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
মামা আহসানউল্লাহ ও ভাগিনা সীমান্ত মিলে নিয়ন্ত্রন করছে পুরো পঞ্চসারের অধিকাংশ এলাকা। মামা আছানুল্লাহ এর ক্ষমতার দাপটেই সীমান্ত বেপরোয়া হয়ে উঠছেন।
জোড় পুকুর পাড় বাড়ি আরো কয়েকজন রয়েছে গোসাইবাগ, বাগবাড়ি গ্রামে এদের দলবল নিয়ে মুক্তারপুর বিসিকে এবং স্ট্যানে, পেট্রোল পাম্প এলাকা সহ সব খানেই তারা ছিনতাই মারামারি মেয়েদের জোড় পূর্বক টানাটানি সহ ইভটিজিং করে আসছে, এই এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। এদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রাকিব।
কে এই রাকিব?
পঞ্চসার ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কে এই রাকিব? রাকিবের অত্যাচারে সাধারণ মানুষের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।ভয়ে আতংকে চোখের ঘুমাতে পারেনা এই অঞ্চলের বসবাস করা বাসিন্দারা। পঞ্চসার ৪ নং ওয়ার্ড পুরাতন সরকার পাড়া গ্রামের শহিদ কানার ছেলে রাকিব। শহিদ কানা পিতা হলেও ছোট বেলায় রাকিবকে পালক দিয়ে দেন আহছানুল্লাহর কাছে। ছোট বেলা থেকেই রাকিব ছিলেন উগ্র মেজাজের, কেউ কখনো শাসন করেনি এই সীমান্তকে। কোন অন্যায় কাজ করতে কেউ বারনও করেননি। সেই সময় থেকেই রাকিব মাদক বিক্রি, চুরি, ছিনতাই, মারামারিসহ সকল কাজের কাজি হয়ে যায়। হয়ে উঠেন এলাকার বড় ত্রাস। যার নাম শুনলেই ভয়ে কাঁপেন সাধারণ মানুষ। রাত হলেই চলে তার তান্ডবলীলা। তার বাহিনীকে সাথে নিয়ে পুরাতন সরকার পাড়া গ্রাম, আদারিয়াতলা গ্রাম, ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রাম সহ তার বাহিনী সাথে অস্ত্রসস্র নিয়ে মহড়া দিয়ে যার যেখানে যা থাকে সব কিছু লুটে নেয়। রাকিব এ দেশের ম্যান বলে ঘোষণা দিয়েছেন, রাকিব কাউকে টাইম দিয়ে চলেন না, রাকিব একাই একশো। বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন এর কয়েক বছর আগে, তার পর মুক্তারপুরের মুসা বাহিনী রাকিবকে তুলে নিয়ে ব্রিজের নিচে নির্জন মাঠে ফেলে একটি পায়ের রগ কেটে দিয়ে ছিলো, এরপর থেকেই রাকিব থেকে টাইটেল পায় রগকাটা রাকিব। রাকিব এ পর্যন্ত বহু মানুষকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে এবং কিছুদিন আগে মাদক ব্যবসায়ী রমজানকে টাকা দেয়নি বলে উলঙ্গ করে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ভাইরাল করার অভিযোগ রয়েছে রাকিবের বিরুদ্ধে এবং জুয়ারিদের জুয়া খেলার বোড থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে তুলে নিয়ে যান রাকিব, টাকা না দিলে হকিস্টিক, লোহার রড, চাকু ছোঁড়া দিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে হামলা করে নিয়ে যান এবং অন্তরকে মারধর করে মেরে ডোবায় লাশ ফেলে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বাড়ি থেকে কয়েকমাস আগে দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছিলো সদর থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে, রাকিব রাত হলে তার এলাকায় থাকেন না অন্য এলাকা গুলোতে চলাচল করেন পুলিশ দেখলে তার সাথে থাকা লোকজনের বাড়িতে পালিয়ে যায়।
এ বিষয় মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেল থান্দার খাইরুল হাসান (পিপিএম সেবা) বলেন আমার কাছে মাদক , চাঁদাবাজি , ছিনতাইয়ের কোন নিদ্দিষ্ঠ অভিযোগের তর্থ্য জানা নাই । কেউ অভিযোগ করলে আমরা আইনী ব্যবস্থা নেবো।