থানায় মামলা নেয়ার আদেশের পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হতাহতের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন

Spread the love

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরের কৃষি ব্যাংকের সামনে সামনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় ১৭০ জনকে নামীয় এবং ১০০ থেকে ১৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে কোর্টে একটি পিটিশন মামলা করা হয়েছে। মামলায় মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের পলাতক এমপি ফয়সাল বিপ্লবকে প্রধান আসামী করা হয়। ২৭ মার্চ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন শহরের উত্তর ইসলামপুরের বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আব্দুল মতিনের ছেলে রোকনউদ্দৌলা রাফসান (২২)।

বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক পিটিশন মামলাটি সিআর মামলা ৩১০/২৫টি মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় এফআইআর ভূক্ত করার জন্য ঐ দিনই আদেশ দেয়। কিন্তু আদালতের আদেশকে কোনভাবেই কর্ণপাত করছেন না সদর থানার অফিসার ইনচার্জ।

অভিযোগ উঠছে আসামী পক্ষের মধ্যে গজারিয়া উপজেলার পুরান বাউশিয়ার মৃত আব্দুস সামাদ সিকদারের ছেলে ফ্যাসিষ্ট সরকারের অন্যতম অর্থলগ্নিদাতা আমিনুর রহমান হারুন সিকদার (৪৮) এই মামলা প্রত্যাহারের বিনিয়োগ করেছেন। সেই বাদীর মামলা প্রত্যাহারের কপিও থানায় বিবেচনার জন্য প্রেরণ করেছে আদালত।

১৪দিন অতিবাহিত হলেও কোর্টের আশেকে অগ্রাজ্য করে থানার অফিসার ইনচার্জ মামলাটি এফআইআর ভূক্ত না করে উল্টো মামলা প্রত্যাহারে সহযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে আহত করার ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৭০জন এজহার নামীয় আসামী করে ১৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। প্রধান আসামী মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব (৫৫), মিরকাদি পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন (৫২), রিপন হোসেন পাটোয়ারী (৪২), আওয়ামীলীগের জেলা সভাপতি ও ৮বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো: মহিউদ্দিন (৭০), সামছুল কবির মাস্টার (৬০), আফছার উদ্দিন ভূইয়া (৬০), আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. সোহানা তাহমিনা (৪৫), শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ভূইয়া (৫০), শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন সাগর (৩০), শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নছিবুল ইসলাম নোবেল (৩৮), সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি নিবির আহম্মেদ (৩২), সাধারণ সম্পাদক আলমগীর (৩২), জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা (৩৪), সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়া (৩৮), সাধারণ সম্পাদক লাকুম রাঢ়ী (৩৮), রামপাল ইউনিয়নের পলাতক চেয়ারম্যঅন মো: বাচ্চু শেখ (৫৫), শহর আওয়ামলীগের দপ্তর সম্পাদক রায়হানুজ্জামান রাসেল (৩৮), গজারিয়া পুরান বাউশিয়া আমিনুর রহমান হারুন সিকদার (৪৮) পিতা মৃত আব্দুস সামাদ সিকদার, পলাতক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজল হাসান সোহেল (৪৫) সহ ১৭০জনসহ অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০জন।

বাংলাদেশের ছাত্র জনতা কর্তৃক বৈষম্য বিরুধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচী পালন করতে শান্তিপূর্ন ভাবে অবস্থান করাকালীন সময়ে মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের পলাতক এমপি মোঃ ফয়সাল বিপ্লব, মিরকাদিমের সাবেক পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন ও রিপন পাটোয়ারীর নির্দেশে এই হত্যাকান্ড ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *