টঙ্গীবাড়ি (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার দীঘিরপাড় ধানকোডা এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ট্রলার থেকে লাফিয়ে গোসল করতে নেমে বাবা-ছেলেসহ ৩ জন নিখোঁজ হন। এরপর রিয়াদ আহমেদ রাজু ও ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল নামে দুজনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলের কাছ থেকেই তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এখানও নিখোঁজ রয়েছেন নিহত রিয়াদ আহমেদ রাজুর ছেলে রামিন আরিদ (১৬)। তাদের বাড়ি ঢাকার মোহাম্মদপুরে সলিমুল্লাহ রোডে। এ ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ জুয়েল রানা ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, তারা ওই উপজেলার বেসনাল এলাকায় তাদের স্বজন আলম মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ট্রলারে করে ৩০-৩৫ জন মিলে দীঘিরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ঘুরতে বের হয়। এ সময় তারা বেশ কয়েকজন ট্রলার থেকে লাফিয়ে গোসল করতে নামে।
গোসল করার সময় রামিন নদীর স্রোতের গতীতে ভেসে যেতে থাকলে তার বাবা ও খালু তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও তীব্র স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গিবাড়ি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের টিম ও নৌপুলিশ। পরে ঢাকা থেকে ডুবুরিদল এসে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।
টঙ্গিবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, সংবাদ পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। ঢাকা থেকে প্রশিক্ষিত ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে এসেছে তারাও নিখোজেদের উদ্ধারে কাজ করতেছে। পরে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে একজন।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার চর আব্দুল্লাহ নৌফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল হাসনাত জানান, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ উদ্ধার কাজ অব্যাহত রেখেছে।