জেলে বসেই সিরাজদিখান থানার ওসিসহ পুলিশের ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

Spread the love

হুমায়ুন কবির:
মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বারেক বেপারী জেলের ভিতর থেকেই বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানার ওসিসহ ১২জনের বিরুদ্ধে ১৫(১) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। জেলা দায়রা ও জজ আদালতে রোববার (৫ মে) দুপুর ২টায় মামলাটি আদালতে উঠলে শুনানী শেষে মামলাটি নথিভূক্ত করার আদেশ দেন। মামলাটি সিরাজদিখান থানায় এফআইআর ভূক্ত করারও নির্দেশ দেন জেলা জজ আদালত।

মামলা সূত্র থেকে জানা যায়, কেয়াইন ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আশ্রাফ আলী ও সাবেক চেয়ারম্যান বারেক বেপারীর আধিপত্যে বিস্তারের দ্বন্দের জেরে কুচিয়ামোড়া কলেজ গেটে মারামারিকে কেন্দ্র করে পুলিশ ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদের পক্ষ নিয়ে রশুনিয়া গ্রামের চকে (২২ এপ্রিল) ৮জনকে কৃষি জমিতে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর নির্যাতন করে। কলেজ গেইট থেকে আটট করে ৫ কিলোমিটার দূরে কৃষি জমিতে নিয়ে মারধর শেষে থানায় নিয়ে আসে। ভোর রাতে আরো ৩ জনকে আটক করে মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয় যার নং ১৮ তারিখ: ২৩ এপ্রিল সময়: রাত ২টার সময় ধারা ১৪৩, ১৪৭,১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ৩৩২, ৩৩২, ৩০৭, ৩৪১, ৩৫৩, ৪২৭, ৫০৬(২)/১১৪ দন্ডাবিধিতে মামলা দিয়ে সকাল ১০টায় আদালতে সোপর্দ করে। ধৃত আসামীদের স্থান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নিয়ে শারিরিক নির্যতন করার অপরাধে ১৫ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন বাদী বারেক বেপারী।

এ বিষয় বারেক বেপারীর বাড়ির পাশ্ববর্তী বাসিন্দা আক্তার হোসেন জানান, ২২ এপ্রিল কলেজের সামনে মারামারির ঘটনায় কলেজে গেইটের সামনে থেকে বারেক বেপারী, শেখ ইস্রাফিল, ফরহাদ হোসাইনসহ ১১জনকে আটক করে পুলিশ নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা জেল হাজতে আছেন। জেলে থেকেই উকিলের মাধ্যমে বারেক বেপারী বাদী হয়ে ওসিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আসামী নির্যাতনের মামলা করেন।

আসামী নির্যাতন মামলার প্রধান আসামী সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলাম, তদন্ত ওসি মোক্তার হোসেন, এস.আই রতনসহ ১২জনের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা করা হয়েছে।মামলা নং ১/২৪
তারিখ: ০৫.০৫.২৪। মামলাটি থানায় এফআইআর ভূক্ত করার নির্দেশ দেন জেলা জজ।

বর্তমান চেয়ারম্যান আশ্রাব আলী জানান, গত ১০ মার্চ পার্টি অফিস ভাংচুরকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাটি ঘটে তাহা বারেক বেপারী নিজারাই ঘটিয়েছে। ২২ এপ্রিল কলেজ গেইটে কি হয়েছে আমার জানা নেই। বারেক বেপারী পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দিবে এটা আগেই জানতাম তবে মামলা দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমাদের গ্রুপের যোগাযোগ রয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদের সঙ্গেও আমার সুসম্পর্ক আছে।

এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলাম সেলফোনে ফোন মামলার সত্যতা স্বীকার করেছেন। ওসি তদন্ত জানান, মামলা হয়েছে শুনতেছি। তবে এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত নহে।

কোর্ট ইন্সপেক্টর মো: জামাল জানান, মামলা রুজু হয়েছে শুনেছি তবে মামলার কপি এখনো হাতে পাইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *