মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জ সদরে মাদকের মামলার ওয়ারেন্ট এর আসামী ধরার জন্যে সদর থানার দুই পুলিশ অফিসার কে গনধোলাই দেওয়ার অভিযোগ জানতে পারলেও পুলিশ হতে কোন প্রদক্ষেপ নেয় নাই।মাদক মামলার আসামী ইদ্রিস আলী সরকারের পুত্র মোফাজ্জল (৪৫) কে ১৯ জুন সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটায় ঘরের ভিতরে পেয়ে অন্ডকোসে ধরে পায়ে হ্যান্ডকাপ পড়ালে এক সময় পুলিশের সাথে দস্তাদস্ত করার ফলে পুলিশকে মার ধর করে পালিয়ে যায় আসামী মোফাজ্জল।
অপরদিকে মোফাজ্জলের থাকার বসত ঘরটি বিকাল ৫টার পরে কোন এক শক্তির ইশারায় ভেঙ্গে ফেলা হয়।এমন কি বিনোদপুর,পঞ্চসার এলাকায় কেউ কোন কিছুই বলতে নারাজ , কিছু জানলেও এই আই ইলিয়াস আতংকে কথা বলতে চায় না কেউ। এ বিষয় মোফাজ্জলের সেই বাড়ীতে গেলে সোমবার ১১ই জুলাই সকাল সাড়ে এরগারটায় ঘরটির বিষয় খোঁজ নিলে কেউ কোন কথা বলতে ইচ্ছুক না।২২ দিন গত হলেও বৌ বাচ্চার থাকার ঘরটি আলাদিনের চেরাগের কারিস্মায় উচ্ছেদ।
মোফাজ্জলের ছোট ভাই আজিজুলের স্ত্রী বলেন, এর আগেও পুলিশ আমার ভাসুর কে খোজ করতে গভীর রাতে আসলে আমার ঘরে জবরদখলে ঢুকে পড়ে ,আমার স্বামীকে নিয়েও নানা ধরণের কটুকথা বলে। আমরা এখন এই পুলিশ আতংকে আছি।এই পুলিশ ইলিয়াস ছাড়া কি পুলিশ নাই ? স্বামী স্ত্রী কি এক সাথে থাকতে পারবো না ? এই বলে কান্না করতে থাকে । ঘরটির বিষয় কোন কথা বলতে নারাজ আজিজুলের স্ত্রীর।
তৎ সময়ে এস আই ইলিয়াস সাংবাদিকদের মোবাইলে বলেন দুই পুলিশ কে মারধর করে হ্যান্ডকাপ সহ পালিয়ে যায় মাদকের ওয়ারেন্টের আসামী মোফাজ্জল। তিনি আরো জানান একাদিক মহিলা তাদের কাছ হতে আসামী ছিনিয়ে নেয় এবং আসামী মোফাজ্জল তার হাতে কেচি দিয়ে কুপ দিয়ে হাত গুরুতর জখম হয়, হাসপাতালে আসলে হ্যান্ডকাপ এলাকা বাসীর মাধ্যমে উদ্ধার হয়েছে জানান এস আই ইলিয়াস। এমন কি ঐ রাতেই মাদকের আসামী হাজির হয় থানায়, আমি নিজে মোফাজ্জলের বিষয় সদয় হয়ে নাস্তা খাওয়ায়েছি। আসামী মোফাজ্জল গরিব অসহায় বলে তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেই নাই বলে জানান এস আই ইলিয়াস।
এই বিষয় পঞ্চসার ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মামুন মিয়া বলেন ঘরটি কোথায় ? কি হইছে জানি না । পুলিশ মোফাজ্জলের বিষয়টি জানিয়েছেন বলে তা জানতে পারি। কেউ আমাকে কোন বিষয় না জানালে আমি জানবো কি করে ?