আধারা ইউনিয়ন যুবলীগ ছাত্রলীগের অফিস ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ

Spread the love

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অফিস হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে। অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব এর ছবি তছনছ করেছে হামলাকারীরা।

রোববার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের চিতলীয়া বাজার সংলগ্ন আধারা ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয়ে জামায়াত বিএনপির সর্মথনকারীরা হামলার চালায়। এ সময় হামলাকারী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এবং বাজার চলাকালীন বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে বাজারে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সরেজমিনে সোমবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে সদর উপজেলা আধারা ইউনিয়নের চিতলীয়া বাজার সংলগ্ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অফিসটি তছনছ করছে হামলাকারীরা। অফিসের মেঝেতে পরে আছে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও স্হানীয় সংসদ সদস্যের ছেঁড়া ছবি। এছাড়া চিতলীয়া বাজার সংলগ্ন তাতিকান্দি গ্রামের আলী ইসলাম চোকদার, নুরুদ্দিন চোকদার বাড়িতে হামলা করে। ঘরের বেড়া ভাংচুর করে। এতে ৮ থেকে ১০ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়।

চিতলীয়া বাজারে একাধিক স্হানীয় ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, হামলাটি আধারা ইউনিয়নের সাবেক ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সায়েক মিঝি নেতৃত্বে তার দুই ছেলে সম্রাট মিজি, রফিকুল মিঝি, রাহায়ান মিঝি, নয়ন মিঝি, মিঠু মিঝি, বকুলতলার গ্রামের রুহুল আমিন (কানা), জাহাঙ্গীর হালদার, মোহাম্মদ সহ ৪০-৫০ জন হামলায় অংশ গ্রহন করে। পরে তারা হাট চলাকালীন চিতলীয়া বাজারে হামলা মোহড়া দেয়।

তাতিকান্দি গ্রামের আলী ইসলাম চোকদার বলেন, আমারা বর্তমান ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আছর নামাজের আগে আমার ও আমার চাচাতো ভাই নুরুদ্দিন চোকদার বিল্ডিংয়ের গেইটে লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। আমরা আওয়ামী লীগ করি এটাই আমাদের দোষ।

আধারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাইম মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতা সায়েক মিঝি লোকজন এলাকায় মাদক ব্যবসা করছে। আমরা তাদের বাঁধা প্রধান করি। এতেই ওরা আমাদের অফিস ভাংচুর করে ও বাজারে রুবেল ছৈয়ালসহ কয়েকজনকে মারধর করে। আমরা এর বিচার চাই।

অফিসে হামলার কথা অশিকার করে সম্রাট মিঝি বলেন, নাইম মাহমুদ আমাদের সবুরাকান্দি গ্রামে ড্রেজার চালাতে দিবে না বলে, হামলা চালিয়ে ড্রেজার স্টাফদের মারধর করে। আমাদের বড় ভাইদের সাথে নিয়ে আমরা বাজারে গেছি। তবে হামলা করিনি। ওরা নিজেদের অফিস ভাংচুর করে আমাদের নাম দিচ্ছে।

হামলার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল কবির মাষ্টার বলেন, জামায়াত- বিএনপির দুশ্কিতিকারীরা চিতলীয়া বাজারে যুবলীগ ছাত্রলীগ কার্যালয়ে অতংকিত হামলা চালিয়ে অফিসটি ভাংচুর করে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও স্হানীয় এমপির ছবি তছনছ করেছে। আমি এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাই। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

সদর থানার (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত। উর্ধতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *