আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ
২০ মার্চের আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগ সম্মেলনকে কেন্দ্র করেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে সিরাজদিখান উপজেলায়। অপরদিকে সিরাজদিখানে বিএনপি পন্থী আওয়ামী নেতাদের দাপটে মূলধারার আওয়ামীলীগ নেতারা কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। রসুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি পন্থী আওয়ামীলীগের নেতা আবু সাঈদ চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পাপ্পুর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে হামলা হয়।
এই ঘটনায় সিরাজদিখান উপজেলার রসুনিয়ার সাবেক মেম্বার মানিকের ছেলে হীরাও এই হামলায় অংশ নেয়। বিষয়টি নিয়ে দুই দিন ধরে চরম উত্তেজনা চলে আসছে সিরাজদিখানে। পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতায় তারা আরো বেপরোয়া। শনিবার (১৮ মার্চ) ইউপি ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদের নেতৃত্বে সাহাবুদ্দিন প্লাজায় জড়ো হয় সহস্রাধিক নেতাকর্মী। স্কুলে দুই গ্রুপের হামলায় ৪জন আহত হওয়ার পরেও উত্তেজনা বেড়েই চলছে। অভিযোগ উঠছে পুলিশ প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নাহিদের পক্ষ নিয়ে অপর পক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে।
যুবলীগের দুইটি গ্রুপের মধ্যে নাহিদের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এবং লিটুর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ। যে কোন সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকার নেতৃবৃন্দ আশংকা করছে।
স্থানীয়রা জানায় শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত নিমতলার সাহাবুদ্দিন প্লাজায় নাহিদের লোকজন জড়ো হতে থাকে। চালতি পাড়া ছাত্রলীগের নেতা অনিক ও সাইফুলের উপর হামলা করার জন্য। বিষয়টি সিরাজদিখান পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করলেও সিরাজদিখান পুলিশ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নাহিদের পক্ষে কাজ করছে বলে অপর পক্ষ অভিযোগ করেছে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের হাতে একের পর এক লাঞ্চিত হচ্ছে সিরাজদিখান আওয়ামীলীগের মুলধারার নেতারা। উপজেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিনের সামনেই ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিকও লাঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান ও সভাপতি মহিউদ্দিনের পার্সোনাল সেক্রেটারী কাউছার জানান, আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিকের সামনেই পাপ্পু, কাঞ্চন ও পাইলট হামলা করে চেয়ার ভাংচুর করে সাধারণ সম্পাদককে লাঞ্চিত করে। পাপ্পু, কাঞ্চন, পাইলট ও সাদ্দাম এই চরজনকে চার খলিফা বলে জানে মানুষ। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ আওয়ামীলীগের মূলধারার নেতাকর্মীরা। এই গ্রুপ টাকার বিনিময়ে শাহ মোয়াজ্জেমের গাড়ি বহরে হামলা করেছিল। মদ, বিয়ার ও দেশী বিদেশী অস্ত্র নিয়ে মহরা দেয়। এই গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদ ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর হামলার ঘটনার পিছনে নাহিদ ও চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জড়িত।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ইকবাল হোসেন সুরুজ জানান, যারা আওয়ামীলীগের সভা পন্ড করার জন্য হামলা করে তারা আওয়ামীলীগ হতে পারে না। তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসির সেলফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈনুল হাসান নাহিদের সেলফোনে ফোন দিলে তিনি আমি ঢাকায় আসছি। সাহাবুদ্দিন প্লাজায় কোন লোকজন জড়ো করি নাই এবং পুলিশকে অনৈতিক কোন সুবিধাও দেইনি।
সিরাজদিখান সার্কেল এসপি জানান, সাহাবুদ্দিন প্লাজায় নাহিদের লোকজন জড়ো হয়েছে সত্য তবে কোথাও কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। সিরাজদিখান পুলিশ কোন অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কাজ করে না।